নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৮
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোই বিএনপির এখন মূল লক্ষ্য। আওয়ামী লীগকে হটিয়ে যদি বিএনপি ক্ষমতায় না আসে তাহলেও দুঃখ নেই দলটির। বিএনপি চায় একটি তৃতীয় শক্তি যেন মধ্যবর্তী সময়ে দায়িত্ব নেয়। এই তৃতীয় শক্তি কি, তা স্পষ্ট করেনি বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভারতের নীতি নির্ধারকদের বৈঠকে এরকমই মনোভাব ব্যক্ত করা হয়েছে। বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ কথা নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাইরে বেগম জিয়ার মুক্তি তাদের প্রধান লক্ষ্য বলা হলেও ভেতরে বিএনপির চাওয়া অন্যরকম। বিএনপি চায় ‘যেকোনো মূল্যে’ বর্তমান সরকারকে হটাতে। আর এই হটানো যে রাজপথের আন্দোলনে সম্ভব না সেটা তারা জানে। নির্বাচনের আগে তাই বিএনপি কিছু একটা করতে চায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে খবর আছে, দেশে বড় ধরনের নাশকতা করা অথবা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি জঙ্গি নীল নকশা আছে। এই নীল নকশার পিছনে যে বিএনপির প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই।
এই নীল নকশার বাইরে আওয়ামী লীগকে হটাতে দেশে বিদেশে চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে দলটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘আমরা বলতে চাইছি, আওয়ামী লীগ তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে তাঁরা কাউকে তোয়াক্কা করবে না। কাউকে পাত্তাও দেবে না। তাই এখনই সময়।’ সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের ভারত সফরেও ‘তৃতীয় শক্তি’ নিয়ে কথা হয়েছে। বিএনপি ভারতের কাছে খোলামেলা ভাবেই বলেছে। ‘আমাদের ক্ষমতা দরকার নেই। তোমরা অন্য কাউকে আনতে পারো।’ শুধু বিএনপি নয়, অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জাতীয় সরকার তত্ত্বও তৃতীয় শক্তির ইঙ্গিতবাহী। ড. কামাল হোসেনও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য সময়ের জন্য ‘অন্যরকম’ সরকার চান। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফরে তিনি স্পষ্ট করেই এসব কথা বলেছেন। এমনকি, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরাও গত কয়েকমাসে বেশ সক্রিয়। তারা এখন ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, দেশে আরেকটি ওয়ান ইলেভেন আনার নীরব প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু ওয়ান ইলেভেন আনার ক্ষেত্রে যে মূল অনুষঙ্গ সে সময় কাজ করেছিল তারা এখন নীরব এবং এসব থেকে এখন অনেক দূরে। এ কারণেই সুশীল সমাজ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক মাদক বিরোধী অভিযানকেই সরকারের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হয়েছে। যেন সরকারের উপর আন্তর্জাতিক অনাস্থা তৈরি হয়। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গন এই সরকারের উপর কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না। ভারতও নানা কারণে আওয়ামী লীগের বিকল্প পাচ্ছে না। আর ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতায় একই পথে যেতে সাহস পাচ্ছে না। বিকল্প পথ কি পাবে বিএনপি; যে পথে নির্বাচন ছাড়াই আওয়ামী লীগকে হটাতে পারবে তারা? আওয়ামী লীগও একথা স্বীকার করে, রাস্তার আন্দোলন নয়, ষড়যন্ত্রে বিএনপি চ্যাম্পিয়ন।
Read in English- https://bit.ly/2HIMJpu
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।