নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০১৮
ছাত্রলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাউকেই পছন্দ নয় প্রধানমন্ত্রীর। এদের হাতে নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে গেলে বদনাম হতে পারে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমস্যাও হতে পারে। এ কারণেই নতুন মুখ খুঁজছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ঐ সূত্র মতে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এমন কাউকে খুঁজছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে নূন্যতম অভিযোগ নেই। একদম ক্লিন। যে ৩২৩ জন ছাত্রলীগের প্রধান দুই পদে দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহী তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কিছু না কিছু অভিযোগ রয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী পদ প্রত্যাশী কাউকেই সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদ দিতে আগ্রহী নন। তিনি খুঁজছেন নতুন মুখ। এ কারণেই, ছাত্রলীগের কমিটি গঠন অনেক বিলম্বিত হতে পারে। এমনকি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নাও হতে পারে বলে একটি সূত্র ইঙ্গিত করেছে।
গতকাল বুধবার ছাত্রলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩২৩ জনকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তাঁদের কাউকেই ছাত্রলীগের নেতৃত্বের জন্য যোগ্য মনে করেননি তিনি। এমনকি, ঐ ৩২৩ জনের মধ্যে একজনকেও পাওয়া যায়নি যে, নিজেদের মধ্যে হট্টগোল দৃঢ়তার সঙ্গে থামাতে পারে। এতে প্রধানমন্ত্রী কিছুটা হতাশই হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, বর্তমানে যে কোটা আন্দোলন তা সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। এই সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি হলে, ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হবে। আবার কোটা আন্দোলনেও অনেক ছাত্রলীগ নেতার জড়িত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে বিলম্বের এটি একটি কারণ।
গত দুই মাস ছাত্রলীগের কমিটি নেই। এই সময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের অভিযোগও অনেক কম। কমিটি হলেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত প্রচারণা শুরু হতে পারে। নির্বাচনের আগে এরকম প্রচারণা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনার খোরাক হতে পারে। এ কারণেও কমিটি গঠন বিলম্বিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেকেই মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত হয়তো নির্বাচনের আগে পর্যন্ত কমিটি গঠন স্থগিত থাকতে পারে। অবশ্য আওয়ামী লীগের অন্য একটি সূত্র বলছে, সেটি বোধহয় প্রধানমন্ত্রী করবেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী যে ছাত্রলীগে আনকোরা নতুন মুখ খুঁজছেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই কারও। যে ৩২৩ জন পদপ্রত্যাশী তারা সবাই পদের জন্য নেতাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মহলে দেন দরবার করছেন। এসব খবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসেছে। এজন্য তাঁদের বাদ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী তাদের একবার পরখ করে নিতেই গতকাল ডেকেছিলেন। ছাত্রলীগের নতুন কমিটি যখনই হোক যারা পদ লাভের জন্য নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা কেউ সেই কমিটিতে থাকছে না।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, মেধাবী কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেছেন। এদের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। এদের মধ্যে থেকেই কাউকে হয়তো ছাত্রলীগের দায়িত্ব তুলে দেবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাঁর আগে তিনি নিশ্চিত হতে চাইছেন, এরা কেউ লোভে বিক্রি হবে না। আদর্শে অটল থাকবে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, এবার ছাত্রলীগের কমিটি হবে অকল্পনীয়। যাদের নিয়ে কেউ ভাবেনি এমন কেউ আসবে নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা একটি চমক দেবেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।