নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২১ জুলাই, ২০১৮
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সমসাময়িক রাজনীতিবিদদের বলা হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল এই প্রজন্মের হাত ধরে। আর দ্বিতীয় প্রজন্ম বলা হয় তাঁদের সন্তানদের। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের শিখরে, গড়ে তুলছেন সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। আর শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সন্তানরাও। এই দ্বিতীয় প্রজন্মেরও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এখন সায়াহ্নে। দেশের রাজনীতিতে এখন আবির্ভাব হতে চলেছে তৃতীয় প্রজন্মের। দ্বিতীয় প্রজন্মের সন্তানরাই এই তৃতীয় প্রজন্ম।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের অন্যতম একজন হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি এখনো প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে না এলেও, আওয়ামী লীগ ও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত। তবে এরই মধ্যে তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে পদার্পণ করেছেন জাতীয় চার নেতার একজন ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর দৌহিত্র এবং বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়। সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদরের ৪টি ইউনিয়ন) আসন থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এমপি হন তানভীর জয়। অবশ্য ২০১৪ তিনি আসনটি আবার বাবাকে ফিরিয়ে দেন নাসিম পুত্র। তবে এখনো রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় তানভীর জয়।
এবার সিটি নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে আরেকজন তৃতীয় প্রজন্মের রাজনীতিবিদকে। আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পানিসম্পদ ও বিদ্যুৎমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের দৌহিত্র ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ছেলে। এই প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে নির্বাচন করছেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিতেও তৃতীয় প্রজন্মের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার কারান্তরীণ থাকা, তারেক রহমান বিতর্ক এবং তাঁর স্ত্রী জোবায়দার রাজনীতিতে অনাগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতৃত্বে নাম শোনা যাচ্ছে জাইমা রহমানের। জাইমা জিয়াউর রহমান ও বেগম জিয়ার নাতনি এবং তারেক-জোবায়দার মেয়ে। বিএনপির অনেকেই জাইমাকে দলটির নেতৃত্বে আনার কথা বলছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তানভীর জয় অনেক আগে রাজনীতির মাঠে এলেও, মূলত বরিশালে সাদিক আব্দুল্লাহর নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় প্রজন্মের আনুষ্ঠানিক প্রবেশ ঘটল। আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে আসার একটি ধারা সূচিত হলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তৃতীয় প্রজন্মের রাজনীতিতে আসার ট্রানজিট পয়েন্ট। এত দিন ধরে রাজনীতির জন্য তৈরি হওয়া তৃতীয় প্রজন্মের অনেক প্রতিনিধিত্বই আশা করা হচ্ছে এই নির্বাচনে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।