নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৫ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০১৮
রাত পেরোলেই তিন সিটিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বরিশাল সিটিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী। বরিশাল সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর প্রথম নারী হিসেবে মেয়র প্রার্থী হয়ে ডা. মনীষা বরিশালে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন। এই আলোচনা পৌঁছে গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত।
ডা. মনীষা একজন মুক্তিযোদ্ধার কন্যা। এই চিকিৎসক-রাজনীতিবিদের বাবা আইনজীবী তপন কুমার চক্রবর্ত্তী ছিলেন ৯ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা। মনীষা চক্রবর্ত্তীর পিতামহ বিশিষ্ট আইনজীবী সুধীর কুমার চক্রবর্ত্তীকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় রাজাকার বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে।
স্কুল-কলেজে বরাবরই ভালো ফল করা ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। মনীষা ৩৪তম বিসিএসেও উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিতে যোগ না দিয়ে দরিদ্র-প্রান্তিক মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন তিনি।
সাম্যবাদে বিশ্বাসী ২৮ বছর বয়সী এই মেয়র প্রার্থী বিভিন্ন সময়ে নানা আন্দোলন-সংগ্রামেও অংশ নেন। মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ই সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া ডা. মনীষা বরিশাল নগরীর হোল্ডিং প্রতিবাদে আন্দোলন, দোকান কর্মচারী-হোটেল শ্রমিক-নির্মাণ শ্রমিক-নৌযান শ্রমিক-রিক্সা শ্রমিকদের ধারাবাহিক আন্দোলন, ভোলার গ্যাস বরিশালে এনে গ্যাসভিত্তিক শিল্প কারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির আন্দোলন, খাসজমি ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণের আন্দোলন, রসুলপুর চরে বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বাসদ থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানো ডা. মনীষার জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম কিন্তু একজন নারীর নির্বাচনে দাঁড়ানোটা বরিশালে ইতিবাচক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গতকাল শনিবার রাতে ডা. মনীষা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, তাঁর খোঁজ-খবর নিয়েছেন। ডা. মনীষা সম্পর্কে সবকিছু জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়বেন ডা. মনীষা, তবুও তাঁর প্রশংসা করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনি। বাংলাদেশ যে নারীর ক্ষমতায়ন ইস্যুতে সঠিক পথেই আছে ডা. মনীষার বরিশাল সিটিতে প্রার্থী হওয়াকে এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। একেই নারীর ক্ষমতায়ন বলে মনে করছেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।