ইনসাইড পলিটিক্স

পটভূমি বদলে দেওয়ার নায়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিবর্তনের ইতিহাস খুব আগ্রহ জাগানিয়া। এই ইতিহাসে হতাশার অন্ধকার আছে, আবার আছে আশার আলো। এই বিবর্তনের অন্ধকার অধ্যায়টির সূচনা হয় যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর নাম নিষিদ্ধ হয়ে যায়। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া শেখ মুজিবকে কেউ বঙ্গবন্ধু বলতো না, জাতির পিতা তো দূরের কথা। সামরিক সরকারের শাসনামলে জয় বাংলা উচ্চারণ করা পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল। আওয়ামী লীগের বাইরে একমাত্র বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিডি) ছাড়া কেউই বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকার করতো না। এমনকি আজকের অনেক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরাও সে সময় বঙ্গবন্ধুর কঠোর সমালোচনা করতো। এক অদ্ভুত দমবন্ধ করা পরিবেশ ছিল তখন জনপদে। বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নামটি মুছে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল সর্বাত্মক ভাবে।

সেই অদ্ভুত সময়ে ১৫ আগস্ট স্মরণ করা হতো গোপনে। ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আলোচনা সভা হতো এমন কোনো জায়গায় যা দেখলে মনে হবে যেন খুব সচেতনভাবে সবার চোখ এড়িয়ে তা করা হচ্ছে।

এরপর নানা পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ’৯০ এর দশকে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ দুই দশক পর ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলো স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ধীরে ধীরে বাঙালির মন থেকে, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে ভুলিয়ে দেওয়ার সকল চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করতে শুরু করে দলটি। বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা শব্দগুলো আবার সসম্মানের উচ্চারিত হতে শুরু করে।

এই সময়টাতে দেখা গেল ’৭৫ এর পর যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করতো না তাঁরাও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবস পালন করা শুরু করল। এই চর্চা এখনো চলমান আছে। এমনকি জাপা সভাপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মতো লোকেরা, যারা  ১৫ আগস্টের ঘটনার মূল সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম, তাঁরাও এখন যথাযথ মর্যাদায় শোক দিবস পালন করে। এই এরশাদকে সেনাপ্রধান বানিয়েছিলেন মেজর জিয়া, এরশাদ নিজেও রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন চাকরিতে বহাল রেখেছিলেন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় দেখা যাচ্ছে, এরশাদই এখন জাতীয় শোক দিবস পালন করেন।

’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুকে বলা হতো দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক, গাদ্দার। অর্থ্যাৎ যত রকম আপত্তিকর কথা একজন মানুষ সম্পর্কে বলা যায় তাঁর সবই বলা হতো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অতীতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ, পরে মোশতাক সরকারের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানরা যখন সংসদে যান তখন হৈচৈ করে শোক প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাসদ সে সময় এসব ঘটনায় কোনো প্রতিবাদই করেনি। অথচ এখন সারাদেশে শোক দিবস পালন করা হয়। মোটামুটি সব রাজনৈতিক দলই তা পালন করে। আর এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব শেখ হাসিনারই।  

বর্তমান বাংলাদেশে শোক দিবস পালন করে না শুধু বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। অথচ একটা সময় ছিল যখন আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া কেউই শোক দিবস পালন করতো না। অর্থ্যাৎ বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের ব্যাটন স্বাধীনতা বিরোধীদের হাত থেকে চলে এসেছে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তির হাতে। আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির এই পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। রাজনৈতিক এই উত্তরণের নায়ক শেখ হাসিনাই।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে সত্যি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবক্ষয় শুরু হয়। শুধু রাজনীতিই নয়, রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই অবক্ষয়ের সূচনা হয় জাতির পিতার মৃত্যুর পর থেকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই এই অবক্ষয় থেকে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। প্রতিহিংসার রাজনীতি দূরে সরিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির চর্চা শুরু করেন শেখ হাসিনাই।

রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার হাত ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে, শোক দিবস পালনের পরিবর্তিত সংস্কৃতির দিকে তাকালেই সেটি উপলব্ধি করা যায়। জাতির পিতার মৃত্যুতে শোক জানানোর যে সভ্যতা, তা পালনের মধ্য দিয়েই একটি সভ্য, উন্নত জাতিরাষ্ট্র হওয়ার পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বিষয়টি আমাদের সামনে প্রতীয়মান হয়।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন