নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ১৭ অগাস্ট, ২০১৮
কারাগারে বন্দী থাকলেও এমনকি নিজে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারলেও, দলকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগার থেকে এরকম একটি নির্দেশনা বার্তা এসেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতরাতে, বেগম জিয়ার এই বার্তা নিয়ে বৈঠকে বসেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। রাতে গুলশানে দলীয় চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কারাবন্দী বেগম জিয়ার এই বার্তা পাঠ করে শোনান মির্জা ফখরুল। তবে, বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতা, এই বার্তা আদৌ বেগম জিয়ার কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, সরকার যেখানে বেগম জিয়াকে হাসপাতালেই নিচ্ছে না, সেখানে এরকম নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে গোপন বার্তা কিভাবে পাঠানো সম্ভব? কেউ কেউ এটাকে সরকারের চালও বলছে। অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বার্তা যে বেগম জিয়ার তা নিশ্চিত করেছেন। আজ শুক্রবার বেগম জিয়ার নিকটাত্নীয়রা কারাগারে সাক্ষাত পেতে পারেন। রাতেই কেন্দ্রীয় নেতাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারকে জানানো হয়। বেগম জিয়াকে দেখতে গেলেই তিনি এই বার্তা নিশ্চিত করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, কারাগার থেকে পাঠানো বার্তায়, বেগম জিয়া যেকোনো মূল্যে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বেগম জিয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এবং আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনের জন্য অবিলম্বে প্রস্তুত হবার নির্দেশ দিয়েছেন। বেগম জিয়া তাঁর বার্তায় বলেছেন, ‘কারচুপি করেও সরকার নির্বাচনে জিততে পারবে না। জনগণকে ঐক্যবধ্য করতে পারলে নির্বাচনে জয় অনিবার্য।’ বেগম জিয়া তার বার্তায় ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে বলেছেন। কিন্তু এই ঐক্য কার সঙ্গে করা হবে সেই সম্পর্কে বার্তায় স্পষ্ট কিছু নেই বলে জানা গেছে। বেগম জিয়া তার বার্তায় বলেছেন, ‘সরকার নির্বাচনের আগে ছাড়বে না, এমনকি হয়তো আমাকে নির্বাচনও করতে দেওয়া হবে না, কিন্তু তারপরও নির্বাচনে যেতে হবে। নির্বাচনই হবে, আমার মুক্তির গণভোট।’ যদিও বিএনপির একাধিক নেতাই বলছেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, কিন্তু বিএনপির ভেতরে নির্বাচনমুখী স্রোতই প্রবল। বিএনপির একধিক সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি বিএনপি শুরু করে দিয়েছে। ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকাও লন্ডন থেকে চুড়ান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘কৌশলগত কারণেই বিএনপি নির্বাচনে যাবার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের অনেকেই আরেকটি ২০১৪র মতো নির্বাচনের আশায় আছে। আওয়ামী লীগকে অপ্রস্তুত করতেই নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপি লুকোচুরি করছে।’ ঐ নেতা এটাও জানিয়েছেন, সিলেটের নির্বাচন তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। নির্বাচনে কিভাবে জিততে হয়, তা বিএনপি শিখেছে। সংশ্লিষ্ঠ সূত্র মতে বেগম জিয়া শুধু নয়, তারেক জিয়াও নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে সবুজবার্তা দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।