নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ অগাস্ট, ২০১৮
বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে সম্প্রতি ডেকে পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের কাজে ধীরগতির কথা জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবের কেউই দ্রুত ফাইল নিষ্পত্তি করছে না। গা বাঁচিয়ে চলছে। ফলে মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আসছে না। প্রতিমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী কাজে গতি আনার নির্দেশ দেন। জানিয়ে দেন, ‘যদি তোমার কথা না শোনে আমি দেখবো।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি দুই সচিবের সঙ্গেই তিনি কথা বলছেন।
শুধু বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয় নয়, নির্বাচনের ৪ মাস আগে অধিকাংশ মন্ত্রণায়ের কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়গুলোতে নির্বাচনের বছরে কাজের গতি বাড়ানোর জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মন্ত্রণালয়েই কাজকর্মে শ্লথ গতি। আমলাদের একটি বড় অংশ, হাত পা গুটিয়ে রেখেছে। মন্ত্রণালয়গুলোতে দেখা যাচ্ছে, বড় প্রকল্প পাশ করানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ আমলাদের অনীহা। অনেকেই সামনে কি হয়, তা দেখার অপেক্ষায়। অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকারে তাঁর মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকবেন কিনা, এই দ্বিধা দ্বন্দ্বে অনেক সচিব কাজ করছেন না। এরকম বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সচিব এবং উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা মন্ত্রীদের কথা শুনছেন না বা এড়িয়ে চলছেন। আমলাদের মধ্যে এতদিন যাঁরা আওয়ামী লীগের বলে নিজেদের জাহির করতেন, তাঁরা এখন হঠাৎ করেই নিরপেক্ষ হয়ে গেছেন। সচিবালয়ে এখন কে কত নিরপেক্ষ তাঁর প্রতিযোগিতা চলছে। একাধিক সূত্র বলছে, দলীয় বিবেচনায় সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদোন্নতি পাওয়া অনেকেই এখন অন্য চেহারায় আবির্ভূত হচ্ছেন। কেউ কেউ ভয় পাচ্ছেন, ‘যদি কোন পরিবর্তন হয়, তাহলে তাঁর গায়ে যেন আঁচড় না লাগে। অথচ, এই সময়ই সরকারের সবচেয়ে বেশি কাজ করার কথা। নির্বাচনী অঙ্গীকার এবং উন্নয়ন প্রকল্প গুলো দ্রুত এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। অথচ বাস্তবে হচ্ছে তাঁর উল্টো। গত মাসে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন মন্ত্রিসভায় নীতিগত ভাবে অনুমোদিত হয়। সংসদে উত্থাপনের আগে আইনটির আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের ভেটিং প্রয়োজন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক মাসে এই ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। অথচ ৯ সেপ্টেম্বর সংসদের শরৎকালীন অধিবেশনে আইনটি পাশ হওয়া দরকার। তা না হলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পটি অনিশ্চয়তার মুখে পরবে। এরকম প্রচুর উদাহরণ রয়েছে। অভিযোগ আছে, কিছু কিছু মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে এমন সব ব্যক্তি দায়িত্বে বসেছেন যাঁরা কার্যত সরকারের বিরুদ্ধেই কাজ করছেন।
একটি সূত্র বলছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের স্থবিরতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠিন বার্তা দেবেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।