নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ড. কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৈৗধুরীর ঐক্য নিয়ে আশাবাদী নন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমন্ত্রণ জানানো হলেও এই জোটে যাবেন না তিনি। এই জোট বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না বলেই মনে করেন শান্তিতে নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ। ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠরা এই তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ২৮ আগস্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেনের বৈঠকের আগে ও পরে ড. ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ড. ইউনূস প্রথমে হ্যাঁ বা না কিছুই বলেন নি। তিনি বলেন, ‘আপনারা শুরু করেন, তারপর দেখা যাবে।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এরপর ড. কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের সঙ্গে দুই দফা যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি এড়িয়ে গেছেন। ড. ইউনূস তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, ’একই বৃত্তেই এই ঐক্য প্রক্রিয়া ঘুরপাক খাচ্ছে। শুধু নির্বাচন এবং ক্ষমতায় যাওয়ার ঐক্যে জনগণ আগ্রহী হবে না। এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় নতুন কিছু নেই।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একজন ঘনিষ্ঠ বলেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন আন্তর্জাতিক অনেক বিষয় নিয়ে ব্যস্ত। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই।’ অবশ্য অন্য একটি সূত্র বলছে, ড. কামাল হোসেনকে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঐক্য প্রক্রিয়ার শুরুতে নানা শর্তে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিরক্ত। ড. ইউনূস চেয়েছিলেন বিএনপি-জামাতসহ সব দলকে নিয়ে ঐক্য। কিন্তু ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রথম বৈঠকেই বলা হয়েছে, বিএনপিকে জামাত ছাড়তে হবে। এটি ইউনূসের পছন্দ হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ‘ড. ইউনূস বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য চেয়েছিলেন। এজন্য উদ্যোগ নিতে তিনি মার্কিন দূতাবাসকেও অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অনুরোধেই বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট ড. কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন।
একাধিক সূত্র বলছে, এই দু’জনকে এক করতে মার্কিন দূতাবাসকে অনেক কসরত করতে হয়। মার্কিন দূতাবাস এবং ড. ইউনূস চেয়েছিলেন জামাত প্রসঙ্গটিকে এড়িয়ে যেতে। আপাতত: যুক্তফ্রন্ট, গণফোরাম এবং বিএনপিকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম করতে। কিন্তু ২৮ আগস্টের বৈঠকে জামাত প্রসঙ্গ আসায় হতাশ হয়ে পড়েন ইউনূস। ড. ইউনূস ড. কামাল হোসেনকেও বলেছেন, বিএনপিকে ছাড়া আন্দোলন বা নির্বাচন কোনোটাই সম্ভব না। এখন জামাত প্রসঙ্গ আনা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। সূত্র মতে, এই মুহূর্তে জামাত প্রসঙ্গ সামনে আনায় বিরক্ত ড. কামাল হোসেনও। এজন্য তিনি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহি. বি চৌধুরীকে দায়ী করেছেন। এদিকে, যৌথ নেতৃত্বে ঐক্য প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হবার কথা থাকলেও গতকাল যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরাম আলাদা কর্মসূচি পালন করেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।