নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকার নিয়েছে ১২ দফা কর্মপরিকল্পনা। আগামী অক্টোবরে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মপরিকল্পনার কথা জানাবেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দাতা দেশগুলো এখনই জানতে চাচ্ছে, আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা কি, নির্বাচন কিভাবে হবে, নির্বাচনকালীন সরকার কি করবে। তাই তফসিল ঘোষণার আগেই তাদের কাছে দেওয়া হবে নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মপরিকল্পনা।
অবশ্য নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা বা সংলাপে যাবে না। তবে রাষ্ট্রপতি যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসতে চায়, তিনি সেটা পারবেন। এ বিষয়ে সরকার কোনো ধরনের বাধা থাকবে না। চাইলে সেই আলোচনায় বিএনপিও অংশগ্রহণ করতে পারবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের ১২ দফা কর্মপরিকল্পনার মধ্যে আছে:
১. আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন বসবে, এই অধিবেশন বসার পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে। আর তফসিল ঘোষণার দিন থেকেই এমপিরা এমপি পদে থাকলেও এমপিদের কোনো ক্ষমতা থাকবে না। এমপিরা তাদের এলাকায় কোনো বাড়তি সুযোগ সুবিধা পাবেন না, কোনো ধরনের প্রটোকল পাবেন না।
২. নির্বাচনকালীন সরকারের যারা মন্ত্রী থাকবেন, তারা যদি নির্বাচনী এলাকায় যান তাহলে সেখানে তারা কোনো মন্ত্রীর মর্যাদা বা মন্ত্রীর সুযোগ-সুবিধা পাবনে না।
৩. নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার পর থেকে সরকার কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন বা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবে না।
৪. তফসিল ঘোষণার পর কোনো এলাকার জন্য বরাদ্দ, বিশেষ বরাদ্দ বা উন্নয়নের কোনো অঙ্গীকার সরকার করতে পারবে না।
৫. এই সময়ের মধ্যে সরকার কোনো ধরনের নীতি নির্ধারনী, উন্নয়ন পরিকল্পনা বা নীতি নির্ধারনী কর্মসূচি গ্রহণ করবে না।
৬. নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে মন্ত্রীরা অন্য কোনো নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
৭. যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন, যেমন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ইত্যাদি কর্মকর্তাগণ নির্বাচন কমিশনের আওতায় দায়িত্ব পালন করবেন।
৮. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসক এবং এসপিদের বদলি করানোর ব্যাপারে নির্বাচনকালীন সরকার কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না। এই বদলির কাজ পুরোটাই করবে নির্বাচন কমিশন।
৯. নির্বাচনকালীন সময় নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু কারার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সমস্ত বিষয় তদারকি করবে নির্বাচন কমিশন এবং শুধু নির্বাচন কমিশনের অনুরোধক্রমেই সরকার তাদেরকে সহায়তা প্রদান করবে।
১০. এই সময়ে যেসব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, সরকারি দলের মতো এই নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোও একই সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবে।
১১. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সেনাবাহিনী মোতায়নের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এখানে সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।
১২. প্রত্যেকটা দলের প্রধানরা বেতার - টেলিভিশনে ভাষণের ক্ষেত্রেও সমান সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
এই কর্মপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনে যেন একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়, সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়। আর নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনকে পরিচালনা করবে, অন্যান্য দলগুলো শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হবে নির্বাচনকালীন সরকারের ১২ দফা কর্মপরিকল্পনায়।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।