নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধ আইন পাস হলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, (আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন) আপনিও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। খসড়া হয়ে যাওয়ার পরেও কেন এই আইনটি পাস হচ্ছে না। তাহলে এই আইন পাস করতে সমস্যা কোথায়? আমরা যখন কোন কিছু নিয়ে কথা বলি, তখন সরকার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পায়। আমাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী মনে করা হয়।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সমকাল কার্যালয়ে সমতলের ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক নীতি কাঠামোর দাবিতে এক গোল টেবিল বৈঠকের আলোচনার সভার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও উপস্থিত ছিলেন। সুলতানা কামালের বক্তব্যের আলোকে আইন মন্ত্রী বলেন, `আমরা সবকিছুকে ষড়যন্ত্র মনে করি না। তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পর আমরা কাউকে ষড়যন্ত্রকারী বলি।’
অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার পর সুলতানা কামালকে একই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একজন প্রশ্ন করেন, আপা আপনাকে তো এখন কেউ ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে না। আপনি সরকারের অনেক সমালোচনা করেন। ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকায় আপনার নাম নাই কেন? এমন প্রশ্ন শুনে সুলতানা কামাল হেসে বলেন, আমার মায়ের কারণেই হয়ত সরকার আমাকে ষড়যন্ত্রকারী মনে করে না।
সুলতানা কামাল হলেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ট একজন। সুলতানা কামালের মা বেগম সুফিয়া কামালের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। ওয়ান ইলেভেনের সময় সুলতানা কামাল পতাকা ছাড়া গাড়িতে চড়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।