নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গতকাল শনিবার। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত এই সভায় আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচারণা কৌশল কী হবে, নির্বাচনী প্রচারণায় কার কী ভূমিকা থাকবে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার কেমন হবে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। নির্বাচনী কৌশল ঠিক করার পাশাপাশি দেশের রাজনীতির বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই সভায়।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশ করার কথা ছিল নবগঠিত রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার। কিন্তু নতুন এই ঐক্যের পক্ষ থেকে নেতারা অভিযোগ করেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁদের জনসমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এই তথ্য জানতে পেরে গতকালের সভায় যুক্তফ্রন্টকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করতে সব রকম সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডিএমপিকে বলব, তাদের যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেওয়া হয়, প্রয়োজনে স্থায়ী একটা মঞ্চ করে দেওয়া হবে যেন তারা ৬০-৭০ জন মিলে গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা করতে পারেন। প্রয়োজনে লোকও দেব।
প্রধানমন্ত্রী যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, ‘তারা অভিযোগ করেছে তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেওয়া হয়নি। আসলে সেখানে আরও কেউ জনসভা করতে চেয়েছিল। তাই হয়তো যাচাই বাছাই করতে গিয়ে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক শেষে পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী পুলিশ কমিশনারকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কেউ যদি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়, তাহলে তাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি কেন?’ জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
এমনকি দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যদি ওদের (যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যের) লোকটোক লাগে তাহলে লোক দিয়ে দিও।’
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।