নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতারাই বরং মনে করছেন জাতীয় ঐক্য দেশকে নির্বাচনমুখী করবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করবে। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এই ধারণা পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতিমধ্যে দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে জাতীয় ঐক্যের কর্মসূচিতে যেন বাধা না দেওয়া হয়। কক্সবাজারের জনসংযোগরত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের টেলিফোনে বলেন, ‘আমি আশা করি, নতুন জোট আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’ তবে ওবায়দুল কাদের এটিকে জাতীয় ঐক্য বলতে রাজি নন। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে দেশে জাতীয় ঐক্য হয় কীভাবে?’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাঁরা যদি নির্বাচনের জন্য ঐক্য করে তাহলে ভালো। তবে যদি ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করে তাহলে জনগণই তা প্রতিহত করবে।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী অবশ্য মনে করেন, ‘এই জোট বাংলাদেশের জনগণ এবং রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।’ তাঁর মতে ডুবন্ত মানুষ যেমন বাঁচার জন্যে খড়কুটোর আশ্রয় ন্যায়, তেমনি ডুবন্ত বিএনপি বাঁচার জন্যে কিছু পরিত্যক্ত এবং বাতিল রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে চড়েছেন।’ মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘দেখেন নির্বাচন পর্যন্ত এই ঐক্য কতটুক থাকে।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে কিছু উন্মত্ত মানুষের আর্তনাদ হলো এই জোট। যাদের কোনো আদর্শ নেই।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘এখনই এই জোট নিয়ে মন্তব্য করার সময় হয় নাই। দেখি আসলে কি হয়? তিনি বলেন, ‘এখনো কি জোট হয়েছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা রকম জোট হচ্ছে। এটা ভালো লক্ষণ। আমরাও চাই একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। অবশ্য এই ঐক্য কি বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা কি না সেটি দেখার বিষয়।’
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এই জোটের পিছনে বিদেশি শক্তির মদদ আছে। ড. কামাল হোসেন তাদের মদদেই প্রকাশ্য হয়েছে।’ ঐ নেতা মনে করেন ‘এই জোটের কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মসূচিও নেই। তাই নির্বাচন করতে না নির্বাচন বানচালের জন্য সেটিই দেখার বিষয়।’
এসব কারণেই আওয়ামী লীগ এই নতুন ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরও গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণের পক্ষপাতী। আওয়ামী লীগ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কি করে তা আগে দেখতে চায়। অবশ্য, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, ঐক্য প্রক্রিয়া ভাঙতে সময় লাগবে না। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মধ্যেই ভাঙনের বীজ লুকিয়ে আছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
বিএনপি আমির খসরু মির্জা ফখরুল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন।