নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া গত বুধবার রাতে টেলিফোন করে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বিএনপির দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, ড. কামাল যে বিএনপির দায়িত্বই কেবল পেয়েছেন তাই নয় বরং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকের আইনজীবী হিসেবেও আইনি পরামর্শ দিচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায়ের তারিখও ধার্য করা হয়েছে ১০ অক্টোবর। তারপরও তারেকের অঘোষিত আইনজীবী হিসেবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ড. কামাল হোসেন এই রায়টি স্থগিতকরণে হাইকোর্টে কোনো রিট বা মামলা করা যায় কী না সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মামলার সমস্ত ফাইল তলব করেছেন।
আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে বাংলাদেশের ইতিহাসের জঘন্যতম জঙ্গি হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত সে হামলায় ২৪ জন মারা যায়। এমন একটি ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের অভিযুক্তকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিলেন ড. কামাল!
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো মূল্যে এই মামলার রায় স্থগিত করতে চাইছে বিএনপি। এ বিষয়ে কামাল হোসেনের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রেনেড হামলা মামলার রায় যদি স্থগিত নাও করা যায়, রায়ের ঘোষণার পরপরই দ্রুত আপিল করে ঘোষিত রায়টিকে স্থগিত করতে হবে। আইন অনুযায়ী, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করে রায় স্থগিত করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, কোনো মামলার ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে মামলায় দণ্ডিত ব্যক্তিকে আত্মসমর্পণ করেই আপিল করতে হবে।
মামলার রায় ঘোষণার প্রাক্কালে বিএনপির আইনজীবীরা ড. কামাল হোসেনের দ্বারস্থ হয়ে রায়টি হওয়ার আগে তা স্থগিত করার শলাপরামর্শ করছেন। রায় স্থগিত করার চেষ্টায় বিএনপি তুরুপের তাস মনে করছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবার এ মামলার পুন:তদন্ত হওয়ার বিষয়টিকে। কারণ আইন অনুযায়ী, কোনো মামলার তদন্ত শেষ হয়ে চার্জশিট দেওয়ার পরে মামলার বিচার শুরু হয়ে গেলে আর মামলার পুন:তদন্ত করা যায় না। কিন্তু ২০০৮ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার দুটি চার্জশিট দাখিলের পরও ২০০৯ সালে এই মামলার পুন:তদন্ত শুরু হয়। এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেই রিট পিটিশন করার পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
ড. কামাল হোসেন এখন তারেক জিয়ার আইনি পরামর্শকে পরিণত হয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ফাইলপত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার পরপরই ১০ অক্টোবর রায়ের তারিখের আগেই কিছু একটা করার জোর চেষ্টা চালাবেন ড. কামাল। অথচ কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন, তিনি ক্রিমিনাল ল বোঝেন না। ড. কামাল যে সবসময়ই দ্বৈত আচরণে অভ্যস্ত সেটি তাঁর বর্তমান কর্মকাণ্ডে আবারও প্রমাণিত হলো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।