নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন ড. কামাল হোসেন। যখন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কেবলমাত্র বাস্তবে রূপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে ড. কামাল হোসেন বিদেশ পাড়ি জমালেন।
গত বুধবার রাতে ড. কামাল হোসেন ব্যাংকক গিয়েছেন এবং সেখান থেকে তিনি সিঙ্গাপুরে চলে গেছেন। তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি ৬ অক্টোবরের আগে দেশে ফিরবেন না।
অথচ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ১ অক্টোবর থেকে আন্দোলন শুরু করার কথা ছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে নাগরিক সমাবেশ করা হয়েছিল। সেই সমাবেশে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ৩০ তারিখের মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে হবে। সরকার এটাতে কোনো সারা দিলেন না। ড. কামাল হোসেন এই আল্টিমেটামের পর আন্দোলন শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আন্দোলন না করে বিদেশে চলে গেলেন।
গতকাল যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের মধ্যে এক আলাপ-আলোচনা হয়। সেখানে তাঁরা ড. কামাল হোসেনের বিদেশ যাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। এসময় জাসদের আ. স. ম. আব্দুর রব বলেন, ড. কামাল হোসেন আমাদের কাছে অঙ্গিকার করেছিলেন যে, এই আন্দোলন শেষ করার আগে কোন ভাবেই বিদেশ যাবেন না। কিন্তু তিনি এই সময় মাঝপথে বিদেশ চলে গেলেন।
একই বৈঠকে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘ড. কামাল হোসেন নিশ্চয়ই সিগনাল পান নাই। উনি সিগনাল ছাড়া কোনো কাজ করেন না। এই সিগনাল না পাওয়ার কারণে তিনি হয়তো হতাশ হয়ে চলে গেছেন। কিন্তু আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে।’
ড. কামাল হোসেনের বিদেশ যাওয়া নিয়ে একটা বার্তা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, যারা ড. কামাল হোসেনকে ঐক্য প্রক্রিয়া ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্ররোচিত করেছিল উদ্যোগী হয়ে এবং সমর্থন দিয়েছিল, সেই সমর্থন এখন নাই। বিশেষ করে জামায়াত ইস্যু, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি এবং জোটের মুল শক্তি বিএনপি থেকে তারেক জিয়াকে মাইনাস করার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যারা ঐক্য প্রক্রিয়ার বিষয়ে প্রথমে আগ্রহী থাকলেও, বর্তমানে তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। ফলশ্রুতিতে ড. কামাল হোসেন আবার গা ঢাকা দিলেন।
উল্লেখ্য, ড. কামাল হোসেন সবসময় দেশে যখন কোনো আন্দোলন শুরু হয়, আন্দোলনের মাঝ পথে দেশের বাহিরে চলে যান এবং গা ঢাকা দেন বলে তাঁর একটা দুর্নাম রয়েছে। সেটা ড. কামাল হোসেন আরও একবার প্রমাণ করলেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।