নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ০৬ অক্টোবর, ২০১৮
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে আজ শনিবার। বিকেল ৩টার দিকে কড়া প্রহরায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরানো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই খালেদা জিয়া দাবি করে আসছিলেন তিনি অসুস্থ। এ কারণে হাসপাতালেও যেতে চাচ্ছিলেন তিনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তাঁকে প্রথমে বিএসএমএমইউ এবং পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু খালেদা জিয়া ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে অনড় থাকেন। পরবর্তীতে খালেদার চিকিৎসার বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে বিভিন্ন ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর আগে তিন দফা চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন। কিন্তু বিশেষ কোনো শারীরিক সমস্যা পাওয়া যায়নি। খালেদা জিয়া যতটুকু অসুস্থ ছিলেন, বার্ধক্যে এরকম অসুস্থতা থাকেই। তারপরও তিনি হাসপাতালে, বিশেষ করে ইউনাইটেড হাসপাতালে যেতে চাচ্ছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যেসব সুবিধার জন্য তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে যেতে চাচ্ছিলেন সেই সুবিধাগুলো বিএসএমএমইউতে তিনি কতটুকু পাবেন। আরেকটি প্রশ্নও দেশের রাজনীতি অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে – খালেদা জিয়া কি অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে যেতে চাচ্ছিলেন নাকি তাঁর হাসপাতালে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ ছিল? কারণ যাই হোক, খালেদা জিয়া আজ থেকে হাসপাতালে থাকছেন।
হাসপাতালে যাওয়ায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির লাভ
পছন্দের হাসপাতাল ইউনাইটেডে যেতে না পারলেও বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়া কারাগারের চেয়ে ভালো অবস্থায় থাকবেন একথা নিশ্চিত। আর এটাই আসলে চাইছিল খালেদা জিয়া ও তাঁর দল বিএনপি। হাসপাতালে গেলে আরও কিছু সুবিধা তিনি পাবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
১। খালেদা জিয়া হাসপাতালের ভিআইপি ব্লকে থাকবেন। বিএসএমএমইউতে ভর্তি হওয়ার একটি বড় সুবিধা হলো, সেখান থেকে খালেদা জিয়া বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, যোগাযোগ করতে পারবেন। ওয়ান-ইলেভেনের মতো ঘটনাগুলোর সময় দেখা গেছে, কারাবন্দী রাজনৈতিক নেতারা বঙ্গবন্ধুতে ভর্তি থাকা অবস্থায় নিজ নিজ কর্মীদেরকে সহজেই বার্তা দিতে পেরেছেন। বিষয়টি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসকদের বিরাট একটি অংশও বিএনপিপন্থী। তাই খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুতে থাকাকালীন দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে একাদশ নির্বাচনে যাওয়া, না যাওয়া বিএনপির একটি বড় ইস্যু। আগামী ১০ অক্টোবর আবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে যাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দণ্ডিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি খালেদা জিয়ার জন্য নাজিমউদ্দিন রোডের তুলনায় বিএসএমএমইউতে সহজতর হবে, তাই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খালেদা জিয়ার কারাগার থেকে মেডিকেলে যাওয়া তাঁর ও তাঁর দলের জন্য একটি বড় সুবিধা বলে গণ্য হবে।
২। নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে যে পরিবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন সে পরিবেশে খালেদা জিয়া স্বচ্ছ্বন্দ্য ছিলেন না। আজীবন বিলাস-ব্যাসনে অভ্যস্ত খালেদা জিয়া। কিন্তু কারাগারে তাঁর কক্ষে এয়ার কন্ডিশনার ছিল না, তাঁকে চৌকিতে ঘুমাতে হতো। কিন্তু বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়া ভিআইপি কেবিনে থাকবেন। সেখানে সকল ভিআইপি সুবিধাই থাকবে। উন্নত পরিবেশে ফিরে আসাও খালেদা জিয়ার জন্য একটি বড় সুবিধা হতে যাচ্ছে।
৩। কারাগারে খালেদা জিয়াকে জেলের খাবারই খেতে হতো। বিশেষ কোনো খাবারের বন্দোবস্ত ছিল না তাঁর জন্য। কিন্তু তিনি যখন হাসপাতালে আসবেন চিকিৎসকদের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁকে বাড়ির তৈরি খাবারও দেওয়া হতে পারে। এটি খালেদা জিয়ার জন্য একটি বড় লাভ।
৪। কারাগারে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া কারাগারের লোকজন ছাড়া কারও সঙ্গে সহজে দেখাসাক্ষাৎ করতে পারতেন না। মাসে দুদিন দর্শনার্থী ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ ছিল না তাঁর। কিন্তু বিএসএমএমইউতে তাঁকে দুইজন পছন্দের চিকিৎসক দেওয়া হয়েছে, দেওয়া হয়েছে পছন্দের টেকনিশিয়ান। তাই হাসপাতালে তিনি অনেকটাই মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারাও খালেদা জিয়া ও তাঁর দলের জন্য একটি বড় লাভ।
খালেদা জিয়া হাসপাতালে যাওয়ায় বিএনপির ক্ষতি, সরকারের লাভ
খালেদা জিয়া হাসপাতালে যাওয়ায় শুধু যে তাঁর ও তাঁর দল বিএনপিরই লাভ হয়েছে তাই নয়, এ ঘটনায় সরকারেরও কিছু লাভ হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
১। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া আওয়ামী লীগের একটি কৌশলগত বিজয় বলে মনে করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া অনড় ছিলেন, তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল ছাড়া চিকিৎসা গ্রহণ করবেন না। আর সরকার অনড় ছিল, খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতাল বা অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হবে না। খালেদা জিয়া অস্বীকৃতি জানালেও গত চারমাস ধরে তাঁকে বারবার বিএসএমএমিউতেই ভর্তি হতে বলছে সরকার। শেষ পর্যন্ত সরকারের অবস্থানটিই খালেদা জিয়া মানতে বাধ্য হলেন। এতে আপোষহীন নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার যে পরিচিতি তা ঠুনকো হয়ে গেল।
২। খালেদা জিয়ার হাসপাতালে আসার মধ্য দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের দিকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে লাভবান হবে সরকার। সরকারের কাছে খবর আছে খালেদা জিয়াই বিএনপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্বাচনমুখী। যে কোনো মূল্যে নির্বাচনে যেতে চান খালেদা জিয়া, এমনকি যদি তাঁর মুক্তি না হয় তবুও। সম্প্রতি খালেদা জিয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ঈদের পরেরদিন একান্ত বৈঠক করেছেন। সেখানেও তিনি নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির তারেক জিয়া প্রভাবিত তরুণ অংশটি নির্বাচনে যাওয়ার বিপক্ষে। দাবিদাওয়া অর্জিত না হলে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী নয় তাঁরা। এমন অবস্থায় খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন এবং দলকে নির্বাচনমুখী করতে ভূমিকা পালন করতে পারবেন। যেহেতু দলের মধ্যে তারেকের চেয়ে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বেশি তাই দলকে নির্বাচনমুখী করতে খালেদা জিয়ার বার্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সরকার।
৩। বিএসএমএমইউতে বিএনপির বিভিন্ন নেতারা যখন গোপনে যোগাযোগ করবে তখন দলে কার কী অবস্থান তা সরকারের সামনে উন্মোচিত হয়ে যাবে। গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে প্রকৃতভাবে বিএনপিতে কে কোন ভূমিকা পালন করছে তা জানতে পারবে সরকার, যা সম্ভব হচ্ছে খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়ার মাধ্যমেই।
৪। নির্বাচনে আসার জন্য বিএনপি কিছু নূন্যতম অর্জন চাইছিল। খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করে আনা হয়েছে এবং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে- একে বিএনপি নিজেদের অর্জন হিসেবে দেখাতে পারবে। এমন অর্জন দেখিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ সরকার। বিএনপি যে সময়টায় কঠোর আন্দোলন করার চিন্তাভাবনা করছিল, তখন খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে আসায় দলটির মধ্যে নমনীয় ভাব চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে আসায় সরকার আন্তর্জাতিক মহলকে দেখাতে পারবে, খালেদা জিয়ার ওপর কোনো নির্যাতন-নিপীড়ন হচ্ছে না। এটাই হবে সরকারের সবচেয়ে বড় লাভ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার
মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের
বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র
সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি।
উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।
তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি
পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি
চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের
উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি
সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের
কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব
উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের
শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে
বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের
সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক
ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব
পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু
মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই
রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির
উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য
পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।
তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয়
আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে
তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের
ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা
অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো
ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে
বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক
করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার
মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার
করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে
বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’
এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।