নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮
১১ জানুয়ারি ২০০৭ সালের মইন উ আহমেদের সেনা সমর্থিত ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করার পর শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়।
ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যাতম উপদেষ্টা ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরেই সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান এবং গ্রেপ্তার শুরু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এবং মেজর জেনারেল এম. এ. মতিন একটি সংবাদ করেন। সংবাদ সম্মেলন করে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার বিষয়ে তাঁদের কর্মপন্থা ব্যাখ্যা করেন। তাঁরা বলেছিলেন যে, ‘তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চান।’
এসময় একজন সাংবাদিক মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ রয়েছে জানতে চাইলে ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন বলেছিলেন, মির্জা আব্বাস কিসের রাজনীতিবিদ? সে তো একজন বাস ড্রাইভার। একজন বাস ড্রাইভারও যদি বাংলাদেশে রাজনীতিবিদ হয়, তাহলে সেই রাজনীতির কি অবস্থা হয় আপনারাই বোঝেন।
মির্জা আব্বাস সম্পর্কে ব্যারিস্টার মইনুলের এই মন্তব্য ২০০৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছিল। অথচ আজকে মির্জা আব্বাসের দল বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছেন ব্যারিস্টার মইনুল।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।