নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮
আওয়ামী লীগে ভাঙন ধরাতে চান ড.কামাল হোসেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর, গণফোরামের নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং সুব্রত চৌধুরী মিলে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা হতাশ, যারা দলের মধ্যে তেমন ভালো অবস্থানে নেই, মনোনয়ন পাবেন না। এমন ১০০ জনের তালিকা করেছে। যাদেরকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। এদের কারো কারো সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সুত্রগুলো বলছে যে, যেহেতু ক্ষমতাসীন সরকার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে, সেজন্য পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আওয়ামী লীগের দুর্গেই আঘাত হানতে চাইছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ড. কামাল হোসেন। এক্ষেত্রে ড. কামালকে সহযোগিতা করছেন দেশের সুশীল সমাজের একাংশ।
ড. কামাল হোসেনের কাছে যে ১০০ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় মধ্যে আছে তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ, সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব:) সফিউল্লাহ, সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম (অবসরপ্রাপ্ত)-তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও আরও অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর নাম রয়েছে। এদের সঙ্গে ড.কামাল ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গণফোরামের নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা আওয়ামী লীগ থেকে এসেছি, এবং আওয়ামী লীগের সবার সঙ্গে আমাদের সু-সম্পর্ক রয়েছে, কাজেই আমাদের যোগাযোগ থাকতেই পারে।’ তিনি যোগ করেন,‘আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ থেকে দূরে সরে গেছে। তাই আওয়ামী লীগের অনেক হতাশ নেতাকর্মী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হওয়ার পর আশার আলো দেখছেন।’ তবে কারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিবেন বা যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সে সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেন নাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ড. কামাল হোসেন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চাইছে যে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়ন পাবেন না, দলের মধ্যে এরকম বড় একটা অংশ হতাশ হয়ে পড়তে পারেন, বিদ্রোহ করতে পারেন। তাদের জন্য একটা ঠিকানা হিসেবে, বড় আশ্রয়স্থল হতে পারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এজন্যেই তাঁরা মনে করছে এটার ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ তৈরি করা সহজ হবে।
অন্য আরেকটি সূত্র বলছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এখন পর্যন্ত পুরোপুরি বিএনপির নিয়ন্ত্রণাধীন এবং বিএনপি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। এখানে বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের তেমন কোনো সুযোগ নাই। গণফোরাম ভারসাম্যের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যফ্রন্টে আনবে। বিভিন্ন সূত্রের প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের একাধিক বঞ্চিত হতাশ ব্যক্তিরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।