নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়া ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি কারান্তরীণ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর বেগম জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেলো। অনেকের প্রশ্ন, বেগম জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের কি পরিসমাপ্তি ঘটল এই রায়ের মধ্য দিয়ে? বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক অধ্যায়ের যবনিকা এই রায় টানবে কি না, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। কিন্তু এই রায়ের মধ্যে দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেলো, তা হলো আগামী নির্বাচনে তাঁকে দেখা যাবে না। নির্বাচনের আগে তাঁর মুক্তির সম্ভাবনার শেষ আলোটুকুও নিভে গেলো।
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পরও তাঁর মুক্তির আশা ছিল। বিএনপির আইনজীবীরা ধারণা করেছিলেন সাতদিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি জামিন পাবেন। এটা বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা বড় প্রেরণা হবে। এই আশা নিয়েই বেগম জিয়া তাঁর অনিচ্ছাতেই লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। কিন্তু প্রায় নয় মাসেও বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারেননি তাঁর আইনজীবীরা। বিএনপির অনেক আইনজীবী মনে করছিলেন, এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু চ্যারিটেবল মামলায় দণ্ডিত হওয়ার ফলে তাঁর নির্বাচনে দাঁড়ানোর শেষ সম্ভাবনাটুকুও শেষ হয়ে গেল। এখন বিএনপি যদি নির্বাচন করতে চায়, তাহলে বেগম জিয়াকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে হবে। বিএনপি কি তা করবে?
বিএনপির একাধিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে যে, বেগম জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এখন আইনগতভাবেই বিএনপি নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে গেল। এমনকি তর্কের খাতিরে আমরা যদি ধরেও নেই যে, সরকার একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করলো, তাহলেও নির্বাচন আইন অনুযায়ী বেগম জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। বিএনপির জন্য তাহলে কোন দাবিটি প্রধান দাবি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকি বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি। এই প্রশ্নে এখন বিভক্ত দলটি। তৃণমূল এবং বিএনপির জন্য নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘খালেদার মুক্তি ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না।’ তারা আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারার ব্যর্থতার জন্য দায়ী করছে মহাসচিব সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের। এই রায়ের পর তারা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। তারা বলছে, নির্বাচনের মাত্র আছে ক’দিন। এর মধ্যে না হবে আন্দোলন, না হবে নির্বাচন। অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মনে করছে, এখনো অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন কিনা সেটা বিএনপি মহাসচিবদের কাছে বড় ইস্যু না। বড় ইস্যু হলো সরকারের পতন। বিএনপি মহাসচিব পন্থীরা বলছেন, ‘সামনে দেখবেন কীভাবে সরকার বিপদে পড়ে।’ সরকার বিপদে পড়বে কিনা সেটি বড় কথা নয় বরং এই রায় যে বিএনপিকে বিভক্তির পথে নিয়ে যাবে, তা স্পষ্ট।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।