ইনসাইড পলিটিক্স

ড. কামাল সন্তুষ্ট, ফখরুলের না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:১১ এএম, ০২ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সংবিধানসম্মত ভাবে যেকোনো সমাধানের জন্য তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। সংলাপে ড. কামাল হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, সংবিধানে যদি থাকে নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে এবং পৃথিবীর কোনো সংসদীয় গণতন্ত্রে এমনটি যদি থাকে, তাহলে তিনি তা করতে প্রস্তুত।

সংলাপে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার তিনটি দাবি মেনে নেন। এই দাবিগুলো হলো,

প্রথমত, নির্বাচনে বিদেশি কূটনীতিকদের আসা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে তাঁর কোনো আপত্তি নেই।

দ্বিতীয়ত, ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইভিএম সীমিত আকারে ব্যবহার হবে। বিরোধী দল চাইলে ইভিএম এটি বন্ধও রাখা যেতে পারে।

তৃতীয়ত, বিরোধী দলের সভা সমাবেশ করার স্বাধীনতা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী দলের সভা সমাবেশ করার অধিকার আছে। বিরোধী দল সভা সমাবেশ করছে। আরও কিছু দরকার হলে, সেটিও তিনি করতে রাজি আছেন।

ঐক্যফ্রন্টের দাবি করা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে অনুরোধ করেছেন, কাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে, সেই তালিকা যদি তিনি দেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে সেটি দেখবেন এবং এটি নিয়ে বিবেচনা করবেন।

সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আসুন আমরা সবাই মিলে একটি নির্বাচন করি, যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, তখন পুরো ক্ষমতাই নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যাবে, তখন সরকারের ভূমিকা হবে খুবই নগন্য। নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সকল দলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানান, আসুন আমরা নির্বাচন করি।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সংলাপেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ড. কামাল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক বলেই তিনি মনে করেন। তিনি বলেছেন, এমন অনেক বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যা আসলে তিনি জানতেন না। বা বিষয়গুলো সম্পর্কে তাঁর কিছু তথ্যের স্বল্পতা ছিল। তিনি মনে করেন, সরকার যদি আন্তরিক হয়, নির্বাচন কমিশন যদি সত্যিকার ভাবে কাজ করে তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।

তবে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সংলাপে অংশগ্রহণকারী ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই বৈঠকেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে আটক তো আমরা করিনি। মামলা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। আপনাদের কোনো না কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় মধ্যে তো যেতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সম্পূর্ণই আইনি ব্যাপার।

ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণ করে বলেন, এই বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই এ বিষয়ে আমাদের নাক না গলানই ভালো।

সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি সংলাপে উত্থাপন করা হলে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, পৃথিবীর কোথায় সংসদ ভেঙে দেয় সেই উদাহরণটি দিলে তিনি উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ বলেন, আমরা অঙ্গীকার করছি সরকার নির্বাচনে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবে না। কোনো রকম প্রভাব বিস্তার করবে না। সরকারের প্রভাবমুক্ত ভাবেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচনে আপনারা অংশগ্রহণ করেন, যদি কোনো কারচুপি করা হয়, তাহলে তো তাৎক্ষণিক ভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, আপনারা কীভাবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন।

এ সময় ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এই বক্তব্যে যুক্তি আছে। তাৎক্ষণিক ভাবেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি কোনো বিশ্বাসযোগ্য বক্তব্য নয়। তিনি বলেছেন, ১৯৯১ সাল থেকে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আছে, সেই ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া যায় কিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আমরা একটি সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ এবং আমরা সংগ্রাম করে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে একটি জায়গায় নিয়ে এসেছি। আমরা কেন একটি অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেব।

সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে এর মধ্যে শুধু ২০০১ সাল ছাড়া কোনো নির্বাচনেই সেনা মোতায়েন করা হয়নি। এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন ড. কামাল হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত আপনাদের হাতে সময় আছে। আমরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করবো। এর মধ্যে যদি আপনারা মনে করেন, ছোট পরিসরে আবার বৈঠক করবেন, আমার দরজা সবসময় খোলা আছে। তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করুন। আপনারা দেখুন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় কিনা?

ড. কামাল হোসেন এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করলেও বিএনপির অধিকাংশ নেতারা এর সঙ্গে একমত হননি।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনের স্বার্থে বেগম জিয়াকে মুক্তির প্রসঙ্গটি তুললে ড. কামাল হোসেন বৈঠকের মধ্যেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে থামিয়ে দেন। এর ফলে, স্পষ্ট হয়ে গেল যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ড. কামাল হোসেন ও আ. স. ম. আব্দুর রব এবং অন্যদিকে বিএনপি ও মাহমুদুর রহমান মান্নার মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে গেল। ভবিষ্যতে সংলাপে বিএনপি আর কতটুকু উৎসাহী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল। তবে এর ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, ড. কামাল হোসেন এই সংলাপে সন্তুষ্ট হয়ে ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনমুখী করতে আগ্রহী হবেন। সেখানে বিএনপির কজন বা বিএনপির কোন অংশ নির্বাচনে যাবে বা যাবে না সেটা বোঝা যাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই।  

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন