ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের মাঠে থাকতে চান এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত এবং সমালোচিত হু. মু. এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা। বর্তমানে রাজনীতি থেকে বহুদূরে থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সক্রিয় হতে চান রাজনীতির মাঠে।

এরশাদের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর রাজনীতির মাঠে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বহু চেষ্টা চালিয়েছেন বিদিশা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক কবি আবু বকর সিদ্দিকের বড় কন্যা বিদিশা সিদ্দিকী। এরশাদকে বিয়ে করার সুবাদে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। একসময় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টার পদও বাগিয়ে নেন। জাতীয় পার্টিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে আকৃষ্ট করতে নানামুখী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির রিসার্চ সেল খুলেন। যার মূল নেতৃত্বে ছিলেন বিদিশা। একসময়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির নিয়ন্ত্রকও ছিলেন এই বিদিশা। কিন্তু বিধিবাম এরশাদ পরিবারের কেউ বিদিশার রাজনীতিতে আসার বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। এরশাদ পরিবার থেকেই এনিয়ে শুরু হয় গৃহবিবাদ। পরবর্তীতে বিদিশার সঙ্গে এরশাদের বড় স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ এবং ভাই জি. এম. কাদের এর দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত রূপ নেয়। যার শেষ পরিণতি হয় এরশাদ-বিদিশা বিচ্ছেদ। এরশাদের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জাতীয় পার্টির অভিমানী এবং ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভিন্ন প্লাটফর্ম করার চেষ্টা করেও সফল হননি বিদিশা। তবে বিদিশা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন তিনি। বর্তমানে অসহায় এবং দু:স্থ নারীদের কল্যাণে কাজ করছে বিদিশা ফাউন্ডেশন। তবে এরশাদ-বিদিশা দম্পতির একমাত্র সন্তান এরিখ এরশাদ আদালতের নির্দেশনায় পালা করে দু’জনের কাছেই থাকছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর কিংবা রাজশাহীর যেকোনো একটি আসন থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছে রয়েছে বিদিশার। তবে কোন দলের হয়ে করবেন নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে করবেন তা এখনো ঠিক করেননি তিনি। বিদিশার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, এরশাদকে মোকাবিলা করার জন্য বিদিশার আগ্রহ এরশাদ যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেখান থেকেই তিনি প্রার্থী হতে পারেন। বিদিশা বর্তমানে ভারতের দাজিলিংয়ে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে ফিরেই নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে বিএনপি: কাদের

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।  

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।


বিএনপি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় ৩ মাস পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আলহাজ্ব মাওলানা মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী আবুল হোসেন। কমিটির অন্যারা হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইন।

প্রসঙ্গ, গত ২৫ জানুয়ারি বিএনপির অনুমতি না নিয়েই ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. সেলিম রেজাকে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করাসহ ১৬ জনকে বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে মাওলানা মো. নেছারুল হককের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিরুদ্ধে। পরে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিএনপি।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হককে আহ্বায়ক এবং মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ওলামা দলের ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিল বিএনপি।

এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মো. সেলিম রেজা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।


জাতীয়তাবাদী ওলামা দল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির তৃণমূলে বাড়ছে ভোটমুখী প্রবণতা

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলের ভোটমুখী নেতাদের ঠেকানো যাচ্ছে না। বহিষ্কারের মতো সাংগঠনিক সর্বোচ্চ শাস্তির পরও দলটির তৃণমূলে বাড়ছে নেতাদের ভোটমুখী প্রবণতা। কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জনের ঘোষণা দিলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও দল এবং দল-সংশ্লিষ্ট অনেক নেতা ভোটে রয়েছেন।

অবশ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের পেছনে পারিবারিক ধারা, আঞ্চলিকতার হিসাবনিকাশ, দীর্ঘদিনের জনবিচ্ছিন্নতা কাটানোসহ নানা যুক্তির কথা বলা হচ্ছে। তবে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, ক্ষমতাসীনদের চাপ ও ফাঁদে পড়ে দলের কেউ কেউ প্রার্থী হয়েছেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, যে কোনো মূল্যে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে।

দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অমান্য করে জাতীয়সহ স্থানীয় সরকারের ভোট করায় গত কয়েক বছরে দল ও অঙ্গসংগঠনের পদধারী চারশ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা শতাধিক নেতা রয়েছেন। বাকিরা সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন।

এ ছাড়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন সময় দলটির আরও কিছু নেতাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে দলে ফিরতে ভুল স্বীকার করে শতাধিক নেতা আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫-২০ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে। এ ছাড়া খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের আরও ২৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির।

জানা গেছে, দলের বহিষ্কৃত অন্য নেতাদের জন্য সহসাই খুলছে না বিএনপির দরজা। বরং এ সংখ্যা আরও বাড়ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সম্প্রতি দলের আট নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। আর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া ৬৩ নেতাকে ইতোমধ্যে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ৩৪টিতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পদধারী নেতারা মাঠে আছেন।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপে ভোট করতে বিএনপি ও দল-সংশ্লিষ্ট অন্তত ৩৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২১ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। নির্বাচন থেকে সরে আসতে কেন্দ্রীয় এবং জেলা নেতাদের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে সাংগঠনিক সর্বোচ্চ শাস্তির বার্তাও। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৩০ এপ্রিলের পর প্রথমে তাদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে।

তৃতীয় ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন। শেষ ধাপের এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ১৯ মে পর্যন্ত।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে থাকা বিএনপি নেতাদের বিষয়ে করণীয় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে দলে তো আগেই সিদ্ধান্ত ছিল এবং সেটিই বহাল আছে। সুতরাং সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ নির্বাচন করলে দল তার ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল থেকে বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃতদের ব্যাপারে আমরা এখনো চিন্তা করিনি’।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্থানীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে প্রথম দিকে অংশ নিলেও ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় সব স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করে আসছে বিএনপি। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় কুমিল্লার মনিরুল হক সাক্কু, নারায়ণগঞ্জের তৈমূর আলম খন্দকারসহ অনেককে দলীয় পদ-পদবি থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করতে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে বিএনপি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নরসিংদী সদর উপজেলা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জেলার কর্মিসভা শেষে জনগণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।

এসময় তিনি বলেন, জনগণকে আমরা বিগত জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ লক্ষ্যে আমরা নরসিংদীতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছি। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমাদের প্রত্যাশা, ভোটাররা জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলার ভোটও বর্জন করবে।

বিএনপির কুমিল্লার (সাংগঠনিক) বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলার মেঘনা উপজেলায় আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) কর্মিসভা ও লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানানো হবে।

এর মধ্য দিয়ে কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগে জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বিভাগের সব উপজেলায় লিফলেট বিতরণ করা হবে।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভোটের মাঠ ছেড়ে দল গোছাতে তৎপর জামায়াত

প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আপাতত ভোটের মাঠ ছেড়ে দল গোছাতে সারা দেশে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে দলটি। প্রায় এক যুগ ধরে কোণঠাসা হয়ে থাকলেও এবার রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা। অবশ্য সরকারের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে এখনো তাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামায়াত নেতারা।

জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের খড়্গ নেমে আসে। অধিকাংশ শীর্ষ নেতাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি করা হয়। সারা দেশে কেন্দ্র, মহানগর ও জেলা পর্যায়ে ৮৭টি দলীয় কার্যালয় থাকলেও এর প্রায় সবই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনো সেগুলো তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে ডিজিটাল মাধ্যমকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রকাশ্য কর্মসূচির সংখ্যা বাড়ানোর দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন বর্জন করলেও বসে নেই জামায়াতে ইসলামী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সারা দেশে সংগঠন চাঙ্গা করার দিকে নজর দিয়েছে দলটি। সেই লক্ষ্যে এরই মধ্যে মহানগর, থানা ও উপজেলা পর্যায়ে রুকন (সদস্য) সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। গত তিন মাসে সম্মেলন হয়েছে ৩০টিরও বেশি সাংগঠনিক জেলায়।

এ ছাড়া নবাগত ও অগ্রসর কর্মীদের জন্য কয়েকটি শিক্ষা শিবির, সহযোগী সদস্যদের সভা ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা এবং নির্বাহী পরিষদের একাধিক সভা ও বিশেষ রুকন সম্মেলনও হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর চলছে ঈদ পুনর্মিলনী। সম্প্রতি জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতা জামিনে কারামুক্ত হওয়ায় সাংগঠনিক তৎপরতা আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে জুম, ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ১৫ দিনব্যাপী ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। এর আগে গত রমজানে দীর্ঘ ৮ বছর পর ঢাকায় বড় পরিসরে ইফতার মাহফিল হয়েছে। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে কর্মসূচি ঘোষণারও পরিকল্পনা করছে জামায়াত। দলটির নীতিনির্ধারকরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও সংকট নিরসনের দাবিতে কর্মসূচির কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার। ট্রাইব্যুনালের বিচারে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে ২০১৩ সালে রায় দেন আদালত।

এরপর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজনৈতিক দল বা সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার শুরু করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগও নেওয়া হয়।

মূলত এসব কারণে প্রায় এক যুগ ধরে রাজনীততে কোণঠাসা হয়ে আছে জামায়াত। শীর্ষ নেতাদের বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পাশাপাশি কেউ কেউ দেশত্যাগ করেন। একটি অংশ জামায়াত ছেড়ে নতুন দল গঠন করেন।

অনেকে আবার রাজনীতি ছেড়েছেন। এসব সত্ত্বেও নানা কৌশলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে জামায়াত। দীর্ঘ বিরতির পর ২০২৩ সালের ১০ জুন প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করে দলটি। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আবারও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিতে মনোযোগী হয়েছেন দলের নেতারা।

সম্প্রতি জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘যতই বাধা আসুক, আমরা ইকামাতে দ্বীনের (দ্বীন প্রতিষ্ঠার) কাজ চালিয়ে যাব। অনলাইনের পরিবর্তে আমাদের প্রকাশ্যে প্রোগ্রাম করতে হবে। কারণ অনলাইনে আরামপ্রিয় জনশক্তি তৈরি হবে। বিজয়ের জন্য বিপ্লবী কর্মী তৈরি হবে না।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দাওয়াত কার্যকর হবে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত তিন মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে নানামুখী সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে জামায়াত। বড় জেলাগুলোতে একক সম্মেলন করা হয়েছে। আবার উপজেলা, থানা ও ছোট জেলাগুলোর কয়েকটি একত্র করে একই জায়গায় সম্মেলন করা হয়েছে। পাশাপাশি কর্মী প্রশিক্ষণের জন্য করা হয়েছে শিক্ষা শিবির। অগ্রসরমান ও নবাগত কর্মীদের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে সহযোগী সম্মেলন। এসব অনুষ্ঠানের কয়েকটি হয়েছে সশরীরে, আবার কয়েকটি হয়েছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

জেলা-উপজেলা ও থানা পর্যায়ে কর্মীরা সশরীরে উপস্থিত হলেও কেন্দ্রীয় নেতারা ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সশরীরে কিংবা ভার্চুয়ালি অংশ নিচ্ছেন। দলটির শীর্ষ নেতারা নানাভাবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছেন। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

তবে জামায়াত নেতাদের দাবি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যেই জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা ও শক্তি বেড়েছে। জামায়াত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

জানা গেছে, সারা দেশের জামায়াতের ৮৭টি সাংগঠনিক জেলা শাখা ও কার্যালয় রয়েছে। এর প্রায় সবই বর্তমানে তালাবদ্ধ। অবশ্য উপজেলা পর্যায়ে কোনো কোনো এলাকায় দলীয় কার্যালয় চালু রয়েছে। ২০১১ সালে ঢাকার মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও পুরানা পল্টন কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ সারা দেশে শতাধিক নেতাকর্মী এখনো কারাগারে আছেন। দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস পর গত ১১ মার্চ কারামুক্ত হন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তার আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছাড়া পান সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। প্রায় আড়াই বছর পর ছাড়া পেয়েছেন নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনসহ আরও বেশকিছু নেতাকর্মী কারামুক্ত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা হামলা-মামলায় জর্জরিত। এখনো শতাধিক নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি। কয়েকদিন আগেও রাজশাহীতে ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে সারা দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কর্মী শিবির, শিক্ষা শিবির, অগ্রসরমান কর্মীদের নিয়ে সেমিনারসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে।’


জামায়াত   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকন ইস্যু 'নিষ্পত্তি' করল বিএনপি

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।

সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও  কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
 
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
 
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।

তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’ 

এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।


ব্যারিস্টার খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন