নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মাহমুদুর রহমান মান্নার দল নাগরিক ঐক্য গতকাল শনিবার ৩০ জন প্রার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। নাগরিক ঐক্যই প্রথম রাজনৈতিক দল যারা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল। অন্য কোনো দল এখনো নিজেদের প্রার্থীদের ব্যাপারে কিছু জানায়নি। যদিও বিভিন্ন মহল ধারণা করছে, শরিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে মান্না এই তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, কিন্তু নাগরিক ঐক্যের এই তালিকা রাজনৈতিক অঙ্গনে হাস্যকৌতুক সৃষ্টি করেছে।
নাগরিক ঐক্যের প্রার্থীদের এই লম্বা তালিকা দেখে সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক দল বিএনপি। বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নাগরিক ঐক্যের তালিকা দেখে দলের কর্মীদের প্রশ্ন করেছেন, ‘মান্নার ড্রাইভারের নাম কী?’ হঠাৎ করে গয়েশ্বরের এই প্রশ্নে কর্মীরা বিস্মিত হন। কর্মীদের বিস্ময় দূর করতে গয়েশ্বর বুঝিয়ে বলেন, ‘একটু জিজ্ঞেস করে নাও মান্নার ড্রাইভারের নাম কী? দেখো, প্রার্থীদের তালিকায় ড্রাইভারের নামও ঢুকিয়ে দিয়েছে কিনা। কারণ ড্রাইভার, গৃহকর্মী ছাড়া তাঁর কাছে ৩০ আসনে দেওয়ার মতো নেতা নেই। মান্নার পার্টিতে ৩০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো মানুষ যদি থাকতো তাহলে সে তো ক্ষমতায়ই চলে যেত।’ যাঁর তিনজনও প্রার্থী নেই সে ৩০টি আসন চাইছে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন গয়েশ্বর।
জানা গেছে, শুধু গয়েশ্বর চন্দ্রই নয়, বিএনপির প্রায় সব নেতাই মান্নার এমন চাহিদায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ধরনের হঠকারী আবদার করা শরিকদের বিএনপির নেতারা কীভাবে সামলায় সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।