ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পাঁচ মনোনয়ন কৌশল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

মনোনয়ন কৌশল চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। চূড়ান্ত হওয়া কৌশলপত্রে মনোনয়ন ও এর সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। চূড়ান্ত হওয়া মনোনয়ন কৌশলের অন্তত পাঁচটি বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত এমন: 

১. কৌশলগত কারণে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ১১০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করবে। তাঁরা নিশ্চিত ভাবেই আওয়ামী লীগের হয়ে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তেই চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে না। দল মনোনীত একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। বিরোধী দলের কারা মনোনয়ন জমা দিচ্ছে সেটা দেখেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। যিনি চূড়ান্ত হবেন অপরজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।

২. আওয়ামী লীগের সর্বশেষ মাঠ জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাসদের একাংশের নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদলসহ শরিক দলের হেভিওয়েট ও সিনিয়র নেতাদের অবস্থাই নির্বাচনী এলাকায় টলটলায়মান। এসব নেতার চেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অনেক নেতার জনপ্রিয়তা বেশি। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোটের শরিক সিনিয়র নেতাদের তৎপর হয়ে ওঠার আহ্বান জানাবেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে নির্বাচন করা এবং কোনো আসন যেন শরিকদের হাতছাড়া না হয় সেই পরামর্শই তাঁদের দেওয়া হবে। জানা গেছে, শরিকদের কাছে জরিপের রিপোর্ট প্রদর্শন করে, তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য জানানো হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে নির্দেশ আসতে পারে, আপনাদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বেশি আসন চেয়েও লাভ নেই। তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে যার জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

৩. যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বর্তমানে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, সেখানে সব প্রার্থীর পক্ষ থেকেই প্রত্যাহার ফরম সাক্ষর করে রাখা হয়েছে। এর ফলে শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ থেকে একজনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হলে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া অপর প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেতে পারবে না, কোনো ঝামেলা পাকাতেও পারবে না।

৪. আওয়ামী লীগের বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলো, যেখানে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক, সেখানকার প্রত্যেক নেতার সঙ্গে বৈঠক হবে দলের শীর্ষ নেতাদের। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেউ কাজ করলে তাঁকে আজীবন বহিষ্কারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের আগেই অবহিত করা হবে।

৫. এবার নির্বাচন হবে তারুণ্যনির্ভর। আর এবার ভোটারদের একটি বড় অংশই তরুণ। এজন্যই আওয়ামী লীগ মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রবীণদের চেয়ে তরুণদেরই প্রাধান্য দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের এবার মনোনয়ন তালিকার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হবে তারুণ্যের উপস্থিতি।

এই কৌশলগুলো নিয়েই আওয়ামী লীগ তার মনোনয়ন কৌশল চূড়ান্ত করেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই হয়তো আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন কৌশল প্রকাশ করা হতে পারে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ৭৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীরা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে ভ্রুকুটি দেখিয়ে আওয়ামী লীগের শতাধিক মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।

 প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর দেখা গেছে, ১৫০ টি উপজেলার মধ্যে অন্তত ৩৭ টিতে সরাসরি আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। দ্বিতীয় দফা, তৃতীয় দফাতেও বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সেটি এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। 

আওয়ামী লীগ আগামী ৩০ এপ্রিল এই বিষয়টি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকেছে। সেই বৈঠকে এদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক সময়ের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে ধারণা করা যায় যে, আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারবে না। আইনের নানা ফাঁকফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে যাবেন বলেও অনেকের ধারণা। কারণ আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তটির মধ্যে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। বিশেষ করে স্বজনদের প্রার্থী করা যাবে না- এই ঘোষণার পর কতগুলো শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন- যারা এখন উপজেলা চেয়ারম্যান আছেন, তারা প্রার্থী হতে পারবেন। যারা আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে আছেন, তাদেরকে স্বজন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না ইত্যাদি নানা ফাঁক আবিষ্কার হচ্ছে এবং এই ফাঁকগুলো দিয়ে শেষ পর্যন্ত যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা প্রার্থী দিয়েছেন, তারা বেরিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

যেমন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ড. আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি গতবার উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন এবং বিজয়ী হয়েছেন। তিনি যখন গতবার উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন, এবারও তিনি প্রার্থী হতে পারেন। এতে কোন অসুবিধা নেই বলেই আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জানিয়েছেন। আর ড. রাজ্জাককে বাঁচানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে অন্তত ১৭ জন বেঁচে যাচ্ছেন। যারা এখন মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজন কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে তারা প্রার্থী হয়েছেন। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন যে, আওয়ামী লীগের যে সমস্ত স্বজনরা নিজ যোগ্যতায় দলের বিভিন্ন পদে আছেন, তাদেরকে স্বজন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন যে, এরা নিজের যোগ্যতায় দলের পদ নিয়েছে, নিজেরাই দলে নেতৃত্ব পেয়েছে। এখানে পরিবারের বা মন্ত্রী এমপিদের কোন ভূমিকা ছিল না। আর একারণেই হবে তারা যদি নিজ পরিচয়ে প্রার্থী হন তাহলে সেটাকে সংগঠন বিরোধী তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। 

আওয়ামী লীগের নোয়াখালীর এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, সন্তান যদি সাবালক হয় তাহলে তার একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে। একই রকম মনোভাব ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। শাজাহান খানের ছেলে সেখানে সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আর এ কারণেই এ সমস্ত ব্যক্তিরা শেষ পর্যন্ত কোন শাস্তির কোপানলে পড়বে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আবার আওয়ামী লীগের মধ্য থেকে কেউ কেউ বলেছেন যে, স্বজনরা যখন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতে ছিল তখন তাদেরকে বাঁধা দেয়া হয়নি। যিনি জনপ্রিয় তিনি প্রার্থী হবেন, তিনি স্বজন না দুর্জন সেটি বিবেচনার বিষয় নয়। এ সমস্ত নানা যুক্তির মারপ্যাচে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীরা পার পেয়ে যাবে বলে অনেকে মনে করছেন।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফখরুল: খালেদার ‘হ্যাঁ’, তারেকের জন্য অপেক্ষা

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ফিরোজায় তিনি যান রাত ৮: ২০ মিনিটে। সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করেছেন। যথারীতি মির্জা ফখরুল ফিরোজা থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। 

বেগম জিয়ার পারিবারিক সূত্র বলছে যে, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার জন্যই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বাসভবনে গিয়েছেন। কিন্তু দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে যে, বিএনপির নেতৃত্বের পরিবর্তন এবং গণতন্ত্রের বিষয়টি চূড়ান্ত করতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়ার কাছে গিয়েছিলেন। 

বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেন এবং খালেদা জিয়া তাকে বাসায় যেতে বলেছেন বলে জানান। এর পরপরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, দুটি বিষয় নিয়ে তাদের আলাপ হতে পারে। প্রথমত, দীর্ঘদিন ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব পদ ছাড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি দলের মহাসচিব পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। অন্য কাউকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তিনি বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানান। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মহাসচিব পদ ছাড়ার পিছনে দুটি কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রথমত, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, হার্টের সমস্যা সহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পূর্ণ সময় দলের নেতৃত্ব পালন করার মতো অবস্থায় নেই। দ্বিতীয়ত, তার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার স্ত্রীকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। এই কারণেও তিনি বিএনপির মহাসচিবের পদ ছেড়ে একজন সাধারণ কর্মীর মতো দায়িত্ব পালন করতে চান। তবে সেসময় বেগম খালেদা জিয়া তাকে অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও একই রকম আগ্রহ বা একই রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব। কিন্তু তারেক জিয়াও তাকে এ ব্যাপারে কোন ইতিবাচক সম্মতি দেননি বলেই জানা গেছে। এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিএনপির ওপর এক ধরনের চাপ এসেছে যে, তারা যেন বিএনপির নেতৃত্ব পরিবর্তন করে। দেশের বাইরে থাকে বা দণ্ডিত কোন ব্যক্তি বিএনপির নেতৃত্বে থাকুক এটি পশ্চিমা দেশগুলো চায় না। বিশেষ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এখন যারা নেতৃত্বে আছেন তারা কোন ইতিবাচক সাড়া দিতে পারেন না। আর একারণেই কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা দেশে রাজনীতি করছেন, তাদের মধ্যে থেকে আপাতত কাউকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়া যেন আপাতত উপদেষ্টা বা আলঙ্কারিক পদে থাকেন। এটি নিয়ে বিএনপিতে এখন ভালোই আলোচনা চলছে। 

গত বুধবার বিএনপির একজন নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ডিবিসির রাজকাহনে স্বীকার করেছেন যে, এ নিয়ে বিএনপিতে আলাপ আলোচনা চলছে, যেন বেগম জিয়া বা তারেক জিয়ার বাইরে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে সেটি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। 

বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে যে, এই বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্যই বেগম জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলামকে ডেকে নিয়েছিলেন। তিনি আপাতত বিএনপির নেতৃত্বে থাকতে চান না। ভারপ্রাপ্ত জেয়ারম্যান তারেক জিয়া যেহেতু লন্ডনে অবস্থান করছেন তিনিও বিএনপির নির্বাহী নেতৃত্বে থাকুক এটি বেগম জিয়া এখন চান না। আর এ কারণেই শেষ পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার বিষয়টি নিয়ে বেগম জিয়া ভাবছেন বলে গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জানানো হয়েছে। 

তবে এ ব্যাপারে তারেকের কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। তারেকের সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না যে, আসলে শেষ পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবেন কিনা। তবে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে, যদি শেষ পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান না হতে পারেন তাহলে তিনি মহাসচিব পদেও থাকবেন না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   তারেক জিয়া   শামীম ইস্কান্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে বিএনপি: কাদের

প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।  

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।


বিএনপি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় ৩ মাস পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আলহাজ্ব মাওলানা মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী আবুল হোসেন। কমিটির অন্যারা হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইন।

প্রসঙ্গ, গত ২৫ জানুয়ারি বিএনপির অনুমতি না নিয়েই ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. সেলিম রেজাকে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করাসহ ১৬ জনকে বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে মাওলানা মো. নেছারুল হককের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিরুদ্ধে। পরে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিএনপি।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হককে আহ্বায়ক এবং মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ওলামা দলের ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিল বিএনপি।

এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মো. সেলিম রেজা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।


জাতীয়তাবাদী ওলামা দল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন