নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮
মনোনয়ন কৌশল চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। চূড়ান্ত হওয়া কৌশলপত্রে মনোনয়ন ও এর সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। চূড়ান্ত হওয়া মনোনয়ন কৌশলের অন্তত পাঁচটি বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত এমন:
১. কৌশলগত কারণে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ১১০ আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা করবে। তাঁরা নিশ্চিত ভাবেই আওয়ামী লীগের হয়ে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তেই চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে না। দল মনোনীত একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। বিরোধী দলের কারা মনোনয়ন জমা দিচ্ছে সেটা দেখেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। যিনি চূড়ান্ত হবেন অপরজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।
২. আওয়ামী লীগের সর্বশেষ মাঠ জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাসদের একাংশের নেতা মঈন উদ্দীন খান বাদলসহ শরিক দলের হেভিওয়েট ও সিনিয়র নেতাদের অবস্থাই নির্বাচনী এলাকায় টলটলায়মান। এসব নেতার চেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অনেক নেতার জনপ্রিয়তা বেশি। জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোটের শরিক সিনিয়র নেতাদের তৎপর হয়ে ওঠার আহ্বান জানাবেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে নির্বাচন করা এবং কোনো আসন যেন শরিকদের হাতছাড়া না হয় সেই পরামর্শই তাঁদের দেওয়া হবে। জানা গেছে, শরিকদের কাছে জরিপের রিপোর্ট প্রদর্শন করে, তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য জানানো হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে নির্দেশ আসতে পারে, আপনাদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বেশি আসন চেয়েও লাভ নেই। তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে যার জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
৩. যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বর্তমানে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, সেখানে সব প্রার্থীর পক্ষ থেকেই প্রত্যাহার ফরম সাক্ষর করে রাখা হয়েছে। এর ফলে শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ থেকে একজনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হলে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া অপর প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেতে পারবে না, কোনো ঝামেলা পাকাতেও পারবে না।
৪. আওয়ামী লীগের বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলো, যেখানে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক, সেখানকার প্রত্যেক নেতার সঙ্গে বৈঠক হবে দলের শীর্ষ নেতাদের। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেউ কাজ করলে তাঁকে আজীবন বহিষ্কারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের আগেই অবহিত করা হবে।
৫. এবার নির্বাচন হবে তারুণ্যনির্ভর। আর এবার ভোটারদের একটি বড় অংশই তরুণ। এজন্যই আওয়ামী লীগ মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রবীণদের চেয়ে তরুণদেরই প্রাধান্য দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের এবার মনোনয়ন তালিকার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হবে তারুণ্যের উপস্থিতি।
এই কৌশলগুলো নিয়েই আওয়ামী লীগ তার মনোনয়ন কৌশল চূড়ান্ত করেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই হয়তো আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন কৌশল প্রকাশ করা হতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
প্রায় ৩ মাস পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট
আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল
কবির রিজভী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আলহাজ্ব মাওলানা
মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী আবুল হোসেন। কমিটির অন্যারা
হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব
মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইন।
প্রসঙ্গ, গত ২৫ জানুয়ারি বিএনপির অনুমতি না নিয়েই ওলামা দলের সিনিয়র
যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. সেলিম রেজাকে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করাসহ
১৬ জনকে বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে মাওলানা মো. নেছারুল হককের নেতৃত্বাধীন
কমিটির বিরুদ্ধে। পরে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
করে বিএনপি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হককে আহ্বায়ক
এবং মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ওলামা দলের ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক
কমিটি ঘোষণা করেছিল বিএনপি।
এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মো. সেলিম রেজা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।