নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০১৮
দেশের অন্য সব এলাকার মতো ঢাকা- ৩ আসনের নির্বাচনী এলাকাতেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরোদমে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা- ৩ আসনে কোনো দলেই প্রার্থীর ছড়াছড়ি নেই। এই আসনে এবার মুখোমুখি হবেন আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদ এবং বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দুজনই জাতীয় রাজনীতির হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত।
ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনটি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১৭৬ নং আসন। ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, আগানগর, তেঘরিয়া কোন্ডা ও শুভাঢ্যা এই ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৬৪৭ জন।
ঢাকা- ৩ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়বেন বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিন্ত্রী নসরুল হামিদ। ২০০১ সালে এই আসনে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করে বিএনপির আমান উল্লাহ আমানের কাছে প্রায় ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রায় ৪২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সাংসদ হন তিনি। সে নির্বাচনে নসরুল হামিদ পেয়েছিলেন ১ লাখ ১২ হাজার ৬২৩টি ভোট আর গয়েশ্বর ৭০ হাজার ৬৮০টি ভোট পেয়েছিলেন। এই আসনের বর্তমান এমপি নসরুল হামিদই। জানা গেছে, টানা দুই মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে নসরুল হামিদ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেছেন। এসব উন্নয়নকাজের ফলে কেরানীগঞ্জকে এখন উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে পুঁজি করেই টানা তৃতীয়বারের মতো এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা এই নেতা। এছাড়া কেরানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই অংশে ভাগ থাকলেও দলীয় নেতাদের মধ্যে কোনো অন্তর্কোন্দল না থাকার বিষয়টি নসরুল হামিদকে নির্বাচনী দৌঁড়ে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।
ঢাকা- ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আগে কখনোই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হননি। অতীতে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলার এই নির্বাচনী এলাকাটি একটি আসনের অন্তর্ভূক্ত ছিল। ওই সময়ে অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচনেই বিজয়ী হন বিএনপির আমান উল্লাহ আমান। গয়েশ্বর কখনো মনোনয়নই পাননি। ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে আসন পুনর্বিন্যাস করে কেরানীগঞ্জ উপজেলাকে ভেঙে দুটি সংসদীয় আসন করা হলে গয়েশ্বর ঢাকা- ৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পান। কিন্তু আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। ২০১৪ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে অংশ নেননি গয়েশ্বর। তবে এবার নির্বাচনে জিতে সংসদে নিজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর বিএনপির এই নেতা। এই উদ্দেশ্যে এলাকায় গণসংযোগ করছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় গয়েশ্বরকে সাহায্য করছেন তাঁর পুত্রবধূ নিপুণ চন্দ্র রায়।
জাতীয় সংসদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন হওয়ায় ঢাকা- ৩ এর ফলাফল কী হবে তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এলাকাবাসী। এই আসনে আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদ ও বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ‘সেয়ানে সেয়ানে লড়াই’ বলে অভিহিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।