নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথার বাহাস হয়েছে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুর। মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেছেন, ‘আপনাদের আসলে রাস্তায় পেটানোই উচিত। আওয়ামী লীগ যে গত ১০ বছর ধরে আপনাদের রাস্তায় ধরে পিটিয়েছে, এটা ঠিকই করেছে। কারণ একটু সুযোগ পেলে আপনারা কি করেন, আজ সেটা দেখলাম।’ আসন ভাগাভাগি নিয়ে গণফোরাম এবং বিএনপির মধ্যে উত্তেজিত আলোচনার এক পর্যায়ে মন্টু এই মন্তব্য করেন।
দায়িত্বশীল সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কামাল হোসেনের আসন ভাগাভাগি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে বিএনপি গণফোরামকে ১০টি আসন দেওয়ার প্রস্তাব করে। প্রস্তাব শুনে ক্ষেপে গিয়ে ড. কামাল হোসেনের আগেই মির্জা ফখরুলকে কিছু কথা বলেন মোস্তফা মহসীন মন্টু।
মোস্তফা মহসীন মন্টুর ঢাকা-২ ও ৩ থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর দাবি নাকচ করে দিয়ে তাঁকে ধানমন্ডি অথবা মোহাম্মদপুরের একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে মোস্তফা মহসীন মন্টু ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘ড. কামাল হলেন বিএনপি’র দ্বিতীয় জন্মদাতা। আপনারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারতেন না। এতদিনে জেলে যেতেন। ড. কামাল হোসেনের ছায়ায় আছেন বলেই সরকার আপনাদের এখনো কিছু করছে না। অথচ আজ আপনারা ড. কামালের সঙ্গেই বেইমানি করছেন। বিএনপির চরিত্র আসলে বদল হবে না।’
এ পর্যায়ে ড. কামাল হোসেন মোস্তফা মহসীন মন্টুকে থামিয়ে দেন এবং তাঁকে শান্ত হতে বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কিছুটা উত্তেজিত হন। তিনি বলেন যে, আমরা কারও দয়ায় রাজনীতি করি না। বিএনপি জনপ্রিয় দল। নির্বাচন আর আবেগ এক জিনিস না। আমরা কামাল হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই বলে এই না যে, আমরা দল বিক্রি করে সব আসন ছেড়ে দিয়ে গণফোরামের পেছনে থাকবো। এটা রাজনীতি হতে পারে না।
পরে ড. কামাল হোসেন একটা দায়সারা মধ্যস্থতা করেন বলে জানা যায়। তিনি বলেন যে, ঠিক আছে, যে যার মতো করে তৈরি হোক। পরবর্তীতে এ নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।