নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনে জয়ী হলে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন না, এরকম একটি মুচলেকা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল ৭ দফা আশ্বাসসহ মুচলেকা দিয়েছেন ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। সম্প্রতি বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা এই মুচলেকার খবর জেনেছেন। দলীয় ফোরামে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া কীভাবে এই অঙ্গীকারনামা দেওয়া হলো, তা নিয়ে তোলপাড় চলছে বিএনপিতে।
জানা গেছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে ৭ দফা অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে: এই অঙ্গীকারনামা তৈরি করা হয়েছে ড. কামাল হোসেনের মাতিঝিলের ল’ চেম্বারে। অঙ্গীকারনামায় যে ৭ টি অঙ্গীকার করা হয়েছে, সেগুলো হলো:
১. জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে কোনো পরিস্থিতিতেই বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন না।
২. জিয়া পরিবারের কেউ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না।
৩. জামাতের যেসব ব্যক্তি বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে, তাদেরকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে না।
৪. জঙ্গিবাদ বা মৌলবাদি গোষ্ঠীকে আশ্রয়, প্রশ্রয় বা পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হবে না।
৫. আওয়ামী লীগ বা অন্যকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। বিদায়ী সরকারের নেতা-কর্মীদের ঢালাও গ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকা হবে।
৬. আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া বেগম জিয়া বা তারেক জিয়াকে মুক্ত করার কোনো প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।
৭. বিএনপি একা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশ চালাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির সঙ্গে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে এইসব বিষয়ে বিএনপির সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছিল। বিএনপি মহাসচিব এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন একাধিক বৈঠকে এ ব্যাপারে মৌখিক অঙ্গীকার করেন। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে লিখিত অঙ্গীকার চাওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে, ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ইংরেজিতে লেখা এই মুচলেকা তৈরি হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি বিএনপির চট্টগ্রাম অঞ্চলের একজন নেতা ভারতীয় দূতাবাসের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হলে, ঐ অঙ্গীকারনামা প্রসঙ্গে কথা হয়। বিএনপির ঐ শীর্ষ নেতা বলেন, এ ধরনের কোনো মুচলেকার কথা তিনি জানেন না। পরে ঐ নেতা বিষয়টি নিয়ে দলের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলেন। এ নিয়ে বিএনপির নেতারা বিএনপি মহাসচিবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন তোলপাড় চলছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।