নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমাদের সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচনে প্রতিটি দলের মোট প্রার্থীর ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। অর্থাৎ তিনভাগের একভাগ পরিমাণ থাকবে নারী প্রার্থী। কিন্তু আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর দেখা যাচ্ছে যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের ১৪ দলীয় জোট এবার তাদের দল থেকে সাকুল্যে মোট ২৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২২টি আসনে নারী প্রার্থী দিয়েছে। অপরদিকে প্রধান বিরোধী পক্ষ বিএনপি ও তাদের শরিক দলগুলো নারী প্রার্থী দিয়েছে আরও কম, ১৯২ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি। সব মিলে মোট ৩১ জন নারী প্রার্থী রয়েছে এবার নির্বাচনে।
হিসাব মতে, আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট নারী প্রার্থী দিয়েছে প্রায় শতকরা ৮জন। আর বিএনপি জোট দিয়েছে শতকরা মাত্র ৫ জন। যেখানে প্রতিটি দলের ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী থাকার কথা, সেখানে মাত্র ১২ শতাংশ নারীর লড়াই নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।
প্রার্থী তালিকা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগে তাও তুলনামূলক কিছু যোগ্যতাসম্পন্ন আত্মপ্রত্যয়ী নারী প্রার্থী রয়েছেন যেমন:শেখ হাসিনা, মতিয়া চৌধুরী, ডা. দীপু মনি, ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাহারা খাতুন। কিন্তু বিএনপি জোটে তাকালে দেখা যায় তাদের নারী প্রার্থী সংখ্যা খুবই কম। তারপর আবার যে কয়জন প্রার্থিতা পেয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বিএনপির পলাতক বা বিভিন্ন দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাদের স্ত্রী। যারা নিজেরা নির্বাচন করতে পারছেন না, সেই স্বামীদের ছত্রছায়াতেই নির্বাচন করছেন তাদের স্ত্রীরা।
বিগত সংসদগুলো পর্যবেক্ষণে জানা যাচ্ছে যে, ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে কয়টি সংসদ গঠিত হয়েছে, তার প্রতিটিতে সরকার এবং বিরোধীদলের নেতা হিসেবে নারীই নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি ২০১৪ সালের সমালোচিত এবং বিএনপি বর্জিত নির্বাচনেও রওশন এরশাদ প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। আবার ২০১৪ সালে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। অর্থাৎ সরকার, বিরোধী দলের নেতা, স্পিকার সব পদেই রয়েছেন নারী।
কিন্তু ক্ষমতায় শীর্ষে এত নারীদের অবস্থান থাকার পরেও এখনো নির্বাচনের প্রত্যক্ষ ভোটে নারীদের অবস্থান অনেক পিছিয়ে। নারীদের নিয়ে এত ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, সমঅধিকার নিশ্চিত হওয়ার পরেও নির্বাচনে নারীদের উপস্থিতি এত কম কেন, সেই প্রশ্ন এখনো রয়েই গেলো।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।