নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টের অধিকাংশ আসনে জয় লাভ করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইকনোমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ)। ৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত তাদের বাংলাদেশ বিষয়ক প্রতিবেদন অনুসারে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আবারো আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে। সেখানে দেয়া পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এবং ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়ে গড়ে ৭.৭ করে থাকবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং সার্বিক বিনিয়োগে স্থিতি অবস্থা থাকবে বলেও তারা জানায়।
এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় বেশ কিছু মতামত জরিপে শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেতা।
সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ও সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী দলের পিছিয়ে থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। আর সে কারণেই বিএনপি বা আরো বড় পরিসরে দেখলে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এ প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের আরো একবার নির্বাচনে জয়ী হওয়া আবশ্যক। এ নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে কৌশলগতভাবে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ তার নিকটতম প্রতিবেশী ভারত, চীন ও জাপানের সহায়তায় অর্থনৈতিকভাবে আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা তেমন নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের এই টানপোড়ের আরো চলবে বলে উল্লেখ করা হয়।
ইকনোমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) প্রসঙ্গে লন্ডন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকনোমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) যারা বিশ্ব ব্যাপী তাদের জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিগত ৬০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশের ব্যবসার উন্নয়ন, অর্থনীতি এবং রাজনীতির ট্রেন্ড, সরকারের নীতি নির্ধারণ এবং কর্পোরেট প্রাকটিসের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। চারভাবে ইআইইউ তাদের তথ্য প্রকাশ করে থাকে: এর ডিজিটাল পোর্টফলিও যেখানে নিয়মিত নতুন পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়; গ্রাহকদের জন্য প্রিন্ট করা নিউজ লেটারের মাধ্যমে যেখানে বার্ষিক কাজের বিবরণী থাকে; গবেষণা প্রতিবেদনের মাধ্যমে এবং সেমিনার ও প্রেজেন্টেশন আয়োজনের মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠানটি ইকোনমিস্ট গ্রুপের সদস্য।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।