নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশে নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তন জঙ্গিবাদ এবং মৌলবাদী শক্তির উত্থান হবে- এমনটাই মনে করছে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি যৌথ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এরকম আশঙ্কা করা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যুক্তরাজ্য দূতাবাস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ মিশন এই গোপন প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। এই প্রতিবেদনটি যুক্তরাজ্য দূতাবাস লন্ডনে পররাষ্ট্র দপ্তরে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রাসেলস এ পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নানা সীমাবদ্ধতা এবং সমালোচনা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বর্তমান সরকার গত একদশকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। যদিও এখন মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তার অধিকার হুমকির মুখে। দুর্নীতি এবং সুশাসনের অভাব এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’ নির্বাচন নিয়ে তৈরী করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গীবাদ এবং মৌলবাদ দমনে দৃঢ় এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারেও আওয়ামী লীগের শূন্য সহিষ্ণুনীতি প্রশংসার দাবি রাখে।’
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আশাবাদ সৃষ্টি হলেও এর ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়। বিশেষ করে নির্বাচনী মেরুকরণে জামাতের অনুপ্রবেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে। এর ফলে মৌলবাদী এবং ইসলামপন্থীদের পুনরুত্থান ঘটবে।’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আশা করা হয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি জামাত থেকে বিযুক্ত হবে। কিন্তু বিএনপি শেষ পর্যন্ত কোনোভাবেই জামাত থেকে আলাদা হতে রাজি হয়নি।’
যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় নির্বাচনে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গীবাদে বিশ্বাসী জামাতের অন্তত ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জামাত এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত ছাত্রশিবির জঙ্গী সংগঠন। এই সংগঠনের উত্থান গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় হুমকি। বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে এই হুমকি আরও বাড়বে।
নির্বাচন নিয়ে এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ড. কামাল হোসেনের মতো বরেণ্য নেতা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান হলেও এর মূল নিয়ন্ত্রণ বিএনপির হাতে। বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য দলগুলোর শক্তির ব্যবধান অনেক। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে সেটাই হবে যেটা বিএনপি চাইবে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিএনপির মূল চালিকাশক্তি হলো জামাত। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসবে জামাত। সেক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকারগুলো করেছে, তার কতটুক বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েই যায়।’
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কৌশলে খুব একটা মৌলিক পার্থক্য নেই। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে সুশাসন, মানবাধিকার, মুক্তচিন্তা এবং সংখ্যালঘু অধিকারের ক্ষেত্রে কোনো বড় পরিবর্তন হবে না। তবে জঙ্গীবাদ এবং মৌলবাদের ব্যাপারে দল দুটির অবস্থান দুই মেরুতে।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।