নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৭ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনের মাঠে অসহায় অবস্থায় চোখের জল ফেলছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ চিকিৎসাজনিত কারণে অবস্থান করছেন সিঙ্গাপুরে। পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ থেকে মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করছেন,অপর কো-চেয়ারম্যান এরশাদের সহোদর জিএম কাদেরও লালমনিরহাট থেকে মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করছেন। পার্টির বর্তমান সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার কোথায় আছেন জানেন না দলের কোন স্তরের নেতা-কর্মীরা। পার্টির নয়া মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্বাচনের মাঠে জাপার প্রার্থীদের দেখার মত কোন নেতা আপাতত মাঠে নেই। প্রায় দেড়শা আসনে উন্মুক্তভাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনিদিষ্ট দিক-নির্দেশনা না থাকায় চরম অসহায়ভাবে মাঠ ছাড়ছেন ঐসব প্রার্থীরা। তাছাড়া প্রতিদিন নির্বাচনী খরচ যোগাতে হিমশিম খেয়ে অনেকেই নীরবে সরে পড়েছেন ভোটের মাঠ থেকে। কোথাও কোথাও মহাজোটের প্রার্থীর কাছে হার মেনে নিজ থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছেন জাপার এসব প্রার্থীরা। একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রার্থীরা মনোনয়ন পাবার পর থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোন খোঁজ পাচ্ছেন না। এতদিন যারা পার্টির বড় বড় পদধারী ছিলেন অনেকেই সটকে পড়েছেন বলে দাবী তাদের। যারা মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাও ইতিমধ্যে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। এমন বাস্তবতার মুখে চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন জাপার উন্মুক্ত দেড় শতাধিক প্রার্থী।
তবে মহাজোটের হয়ে যে ২৬ জন মাঠে আছেন তারা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আনুকূল্য পাচ্ছেন। মুন্সীগঞ্জ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গোলাম মোহাম্মদ রাজু। তিনি এরশাদকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, তোমার অপেক্ষায় আজ আমরা দিশেহারা,,,আসো। রাজনীতির অঙ্গন আজ নিষ্প্রভ,,,। এমন অভিব্যক্তি জাপার অনেক উন্মুক্ত প্রার্থীদের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।