নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ এএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপির হাতেগোনা যে ক’জন নির্বাচিত হয়েছেন, তারা কেউ শপথ নেবেন না। সংসদেও যাবে না বিএনপি। সংসদে না গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করবে দলটি। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, লন্ডন থেকে গতকাল রাত ১২ টায় তারেক জিয়া নেতৃবৃন্দকে সর্বাত্মক আন্দোলনের সূচনা নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি হরতাল, অবরোধের মত কর্মসূচী গ্রহণের জন্য তারেক জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের বলেছেন বলে জানা গেছে। তারেক জিয়ার টেলিফোনের পর রাতেই সিনিয়র নেতারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে হরতাল, অবরোধের কর্মসূচী দিয়ে কতটা টেকা যাবে, এ নিয়ে দলের অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন,‘আমরা তো ভোটের মাঠেই দাড়াতে পারলাম না। আন্দোলন করবো কীভাবে?’
বরং বিএনপির সিনিয়র নেতারা সভা-সমাবেশ,মানববন্ধন, প্রতীকি অনশনের মত কর্মসূচী গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন। একই সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনও ধ্বংসাত্মক কোন কর্মসূচীতে জড়াবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, আজ কিছুক্ষনের মধ্যে বিএনপি নেতারা আরেকদফা বসে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। তবে, বিএনপির মধ্যে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণার আগে নিজেদের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া বাকি রয়েছে বলে মনে করে অনেক নেতা। নির্বাচনের পরে বিএনপিতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছে।
২০১৪- এর নির্বাচন কেন বিএনপি বর্জন করলো, আবার ২০১৮ সালে নির্বাচনেই বা কেন অংশগ্রহণ করলো? দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা এর জবাব চায়। ২০১৪-তে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং অগ্নি সংযোগের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। এখনও বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরও অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। নতুন করে মামলা হয়েছে। আবার আন্দোলনের কর্মসূচী দিলে দেশে কোন বিএনপি থাকবে না বলেই মনে করে বিএনপির তৃনমূলের নেতৃবৃন্দ। বিএনপির একজন মাঠ পর্যায়ের নেতা বলেছেন,‘নেতারা একের পর এক ভুল করবে আর কর্মীরা সেই ভুলের মাশুল দিবে, তা কি করে হয়? আগে যেসব নেতারা ভুল সিদ্ধান্ত এবং সরকারের সঙ্গে আতাতের কারণে এই অবস্থা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা আন্দোলনের কর্মসূচী নিয়ে দ্বিধান্বিত।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।