নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ জানুয়ারী, ২০১৯
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি এখন বাংলাদেশের প্রতিকৃতিতে পরিণত হয়েছেন। তার সামনে এখন অমরত্বের হাতছানি। এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া কেবল নিশ্চিত করেননি। তিনি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী তাঁর নেতৃত্বে করার অধিকার আদায় করেছেন। আগামী পাঁচ বছর তিনি কীভাবে দেশ পরিচালনা করবেন, তা দেখার অপেক্ষায় সবাই। গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন একটি রোল মডেল রাষ্ট্র। এই অর্থনৈতিক অভিযাত্রার কারণেই দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী তার উপর আস্থা রেখেছে। আমরা যদি দেখি ১৯৯৬ সালে প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে তিনি নীতি এবং পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছিলেন। বিভিন্ন অমিমাংসিত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্বাসনের কাজটা শক্ত হাতে করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ৭২এর সংবিধানের ধারায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তগুলো তিনি বাস্তবায়ন করেন। ২০১৪ তে ক্ষমতায় এসে তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাল্টে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন যে, বাংলাদেশে তার সরকার যে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছে, সেটা আর কেউ বন্ধ করতে পারবে না। তাই টানা তৃতীয় মেয়াদে অর্থনৈতিক উন্নয়ন যে শেখ হাসিনার প্রধান এজেন্ডা নয়, তা বোঝাই যায়। অবশ্য দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির জন্য অর্থনৈতিক খাতকে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই গুরুত্ব দেয়।
২০১৯ সালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য হতে পারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম। বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা, বাংলাদেশের যে অর্জন তার সবটাই ম্লান করে দিতে পারে দুর্নীতি। বিগত দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী এবং এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আর দুর্নীতির এসব অভিযোগের কারণেই সবচেয়ে সমালোচিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য এবং নিয়োগ বাণিজ্য ছাড়া জনগণের সামনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই নেই। তাই তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনা হয়তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনাকে অভূতপূর্ব এক সুযোগের সামনে দাঁড় করিয়েছে। জাতির অভিভাবক হিসেবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনি কী আচরণ করেন তার দেখার বিষয়। একটি ঐক্যমতের রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে যদি তিনি আগামী ৫ বছর এগিয়ে নিতে পারেন তাহলে তা হবে বাঙালী জাতির একটি আকাঙ্ক্ষা পূরণ। তিনি যদি দলের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশের জনগণের প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি অমরত্ব পাবেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
বিএনপি আমির খসরু মির্জা ফখরুল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন।