নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ জানুয়ারী, ২০১৯
খোল নলচে পাল্টে যাচ্ছে বিএনপি। নেতৃত্বের বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দলের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা হয় অবসরে যাচ্ছেন অথবা বিএনপি ছেড়ে দিচ্ছেন। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার তারেক জিয়া দিনভরই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছেন। এদের অধিকাংশই বর্তমান নেতৃত্বের পরিবর্তনের পক্ষে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির করুণ অবস্থা। স্থায়ী কমিটির প্রায় অর্ধেক পদ খালি। দীর্ঘদিন বলা হলেও শুন্য পদ পূরনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাছাড়া যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন, তাদের একটি বড় অংশ বার্ধক্যজনিত নানা রোগশোকে আক্রান্ত। তারেক জিয়া নিজেও এই স্থায়ী কমিটির পরিবর্তনের পক্ষে। স্থায়ী কমিটিতে তারেক জিয়া পরিবারের লোকজন এবং তরুনদের আনতে চায়। তারেকের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অধিকাংশই মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একমত। বিএনপির মহাসচিব পদেও পরিবর্তন আসতে পারে। বর্তমান মহাসচিব নিজেই এই দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চান। তিনি লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে একথা বলেছেন।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, তারেক একজন নতুন মহাসচিব খুঁজছেন। নতুন মহাসচিবের ব্যাপারে বর্তমান সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম আসে সবার আগে। কিন্তু তারেক জিয়া তাকে মহাসচিব হবার যোগ্য মনে করেন না বলেই বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তারেক জিয়ার পছন্দ আব্দুল আউয়াল মিন্টুর পুত্র তাবিথ আউয়াল। কিন্তু দলের অধিকাংশ মাঠকর্মীরা তাকে ঠিকমতো চেনেই না। একজন নতুন মহাসচিব না পাওয়া পর্যন্ত মির্জা ফখরুলকে এই পদে রাখা হচ্ছে। দলের বেশ ক’জন সিনিয়র নেতা অবসরে যাবার কথা ভাবছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনও বলেছেন, রাজনীতির উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তিনিও অবসরের কথা ভাবছেন। আর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদসহ আরও ক’জন খুব শীঘ্রই দল বদলাবেন এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বিএনপিতে। তবে, বিএনপির নেতৃত্বের পরিবর্তনের আগে যে দলটি কোন আন্দোলনে যাবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
প্রায় ৩ মাস পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট
আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল
কবির রিজভী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আলহাজ্ব মাওলানা
মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী আবুল হোসেন। কমিটির অন্যারা
হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব
মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইন।
প্রসঙ্গ, গত ২৫ জানুয়ারি বিএনপির অনুমতি না নিয়েই ওলামা দলের সিনিয়র
যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. সেলিম রেজাকে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করাসহ
১৬ জনকে বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে মাওলানা মো. নেছারুল হককের নেতৃত্বাধীন
কমিটির বিরুদ্ধে। পরে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
করে বিএনপি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হককে আহ্বায়ক
এবং মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ওলামা দলের ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক
কমিটি ঘোষণা করেছিল বিএনপি।
এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মো. সেলিম রেজা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।