নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
সদ্য দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রিপরিষদের সম্পদের হিসেব প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত টিম মন্ত্রীদের সম্পদের হিসেব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যের ফাইল প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মূলত নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তথ্যের ভিত্তিতেই সম্পদের ফাইল তৈরি করা হয়েছে বলে ঐ সূত্র জানিয়েছে। মন্ত্রীত্ব পালনের সময় সম্পদের পরিমাণ বাড়ে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের পরদিনই সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নতুন মন্ত্রীদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিগত মন্ত্রিসভায় অনেক মন্ত্রীর বিপুল বিত্ত বৈভবে খোদ প্রধানমন্ত্রীই বিস্মিত হয়েছিলেন। এদের অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী যে তাদের ‘হাঁড়ির খবর’ জানেন এরকম বার্তাও তিনি দিয়েছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ ছিল, তারা কেউই এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। এবার প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের কোনো অভিযোগই বরদাস্ত করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, মন্ত্রীদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব টিম। প্রধানমন্ত্রী নিজেই গত মঙ্গলবার দায়িত্ব পাওয়া নতুন মন্ত্রীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সতর্ক থাকবেন, আপনারা সবসময় আমার নজরদারির আওতায় রয়েছেন। কে কি করছেন জেনে যাবো।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত মন্ত্রিসভায় দলের কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এবার মন্ত্রিসভাতে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে যেন এ ধরনের অভিযোগ না ওঠে সেজন্য প্রথম থেকেই সতর্ক প্রধানমন্ত্রী। শুধু আর্থিক দুর্নীতি নয়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা কার সঙ্গে মেশেন, কোথায় যান ইত্যাদি বিষয়েও নিবিড়ভাবে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অনেক মন্ত্রীর সম্পদের বৃদ্ধি নিয়ে খবর সরকারকে বিব্রত করে। নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় দেখা যায়, কারো কারো সম্পদ কয়েক গুণ বেড়েছে। এরকম পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি সরকার চায় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর একটি নিজস্ব টীম। এই রকম একটি টীম মন্ত্রীদের সম্পর্কেও নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেবে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এমন একটা ব্যবস্থা আমরা করেছি যেন মন্ত্রীরা সিসিটিভির মতো পরিবেশে থাকেন।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শুধু মন্ত্রী নয়, সংসদ সদস্যদেরও অনিয়ম, দুর্নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন। সংসদ সদস্য হয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য বা অন্য অনৈতিক তদবিরের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে বলেও জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠদের সংগে আলাপচারিতায় বলেছেন, ‘মন্ত্রী এমপিদের বদনাম আমি চাই না। এতে সরকারের সাফল্য ম্লান হয়ে যায়।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘নতুন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য প্রশংসিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার এমন এক ব্যবস্থা করেছেন যে মেয়াদ শেষে শত্রুরাও বলবে, এই সরকার ছিলো দুর্নীতিমুক্ত।’
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান ঘোষণা করেছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার
মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের
বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র
সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি।
উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।
তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি
পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি
চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের
উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি
সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের
কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব
উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের
শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে
বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের
সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক
ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব
পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু
মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই
রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির
উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য
পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।
তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয়
আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে
তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের
ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা
অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো
ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে
বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক
করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার
মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার
করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে
বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’
এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।