নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯
নির্বাচনের আগে ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনের জয়লাভের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছেন তিনি। নির্বাচনের পর আবারও ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তবে এবার সেটা সংলাপ হবে না। হবে পুনর্মিলনী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, যেহেতু এই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে সংহত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাবেন। সরকার চালানোর ব্যাপারে তাদের কোন পরামর্শ বা কোন দিক-নির্দেশনা থাকলে তা প্রধানমন্ত্রী শুনবেন।
নির্বাচনের আগে যে সংলাপ হয়েছিল, সেখানে সকল দল বা জোট আলাদাভাবে বসেছিল। ৭৫টি রাজনৈতিক দলকে আলাদাভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল, জাতীয় পার্টি, বামমোর্চাসহ সকল দল ও জোট আলাদাভাবে সংলাপে বসেছিল। কিন্তু এবারের সংলাপটা সেরকম হবে না। সকল রাজনৈতিক দল ও জোটকে একইসঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হবে। নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলে ৭৫টি দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে তবে সেখানে জামাত থাকবে না এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কবে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, আমরা দিনক্ষণ ঠিক করছি। প্রধানমন্ত্রী সুবিধাজনক সময় এবং সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তবে গণভবনের সূত্রগুলো বলছে, শুক্রবার অথবা শনিবার ছুটির দিনে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হতে পারে। অন্যসময় যেমন রাজনৈতিক দলগুলো নামের তালিকা পাঠাতো, কিন্তু এবার এই তালিকা চূড়ান্ত করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আমন্ত্রিতদের ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। গণভবনের সূত্র বলছে, এখানে বক্তৃতা পর্ব এবং এখানে নৈশভোজের আয়োজন থাকবে। পুনর্মিলনীর রূপরেখা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
ইতিমধ্যে এই সংলাপের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, আমরা নিজেরাই সংলাপে বসতে চেয়েছিলাম, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আগ বাড়িয়ে সংলাপের কথা বলেছেন। এটা শুভ লক্ষণ। তাঁর আমন্ত্রণ পেলে আমরা আলোচনা করবো। তবে এ ধরনের সংলাপকে নেতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি। পুনর্নির্বাচনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া এ ধরনের সংলাপ অর্থহীন বলে মনে করছে তারা। প্রধানমন্ত্রীর এ ধরণের নৈশভোজে কোন আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট দাবির ভিত্তিতে সরকারের সঙ্গে সংলাপ করতে চাই। গতবারও দেখা গেছে সংলাপের নামে অর্থহীন ফটোসেশন হয়েছে। সেখানে আমাদের কোন দাবিই অর্জন হয়নি। এবারও আমাদের সুস্পষ্ট কিছু দাবি আছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নিবাচনের ঘোষণা দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মু্ক্তি দিতে হবে। আমাদের দাবি পূরণ হলে আমরা সংলাপের বিষয়টি বিবেচনা করবো।’
তবে বিএনপি এবং অন্যান্য দল সংলাপের ব্যাপারে কী অবস্থান নেয় তা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণপত্রের উপর। এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ অথবা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই আমন্ত্রণ পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রগুলো জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে যে, ৩০ জানুয়ারির প্রথম অধিবেশনের আগেই এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।