নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বাংলাদেশে যখন জামাত বিলোপের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সে সময় লন্ডনে জামাত- বিএনপি একীভূত করণ বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। নানা জটিলতায় আক্রান্ত জামাত ইসলাম সংগঠন বিলোপ করে নতুন মোড়কে আত্মপ্রকাশ করতে চাচ্ছে। এ নিয়ে জামাতে মতবিরোধ চরমে। জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছেন। আরও কয়েকজন নেতা একাত্তরের প্রশ্নে পদত্যাগ করতে পারেন বলে জামাতের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু জামাতের মজলিশে সুরার সিংহভাগ সদস্যের মত জামাতকে বিলুপ্ত করে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করতে হবে। কিন্তু লন্ডনে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা তারেক জিয়ার সঙ্গে জামাতের বৈঠক নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন। এইসব বৈঠকে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
তারেক জিয়া চান জামাত পৃথক সংগঠন না হয়ে বিএনপির সঙ্গেই একীভূত হয়ে যাক। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো, যে দেশ-বিদেশে জামাতের বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ রয়েছে। জামাতের অর্থ দাতার সংখ্যা বিএনপি বা অন্য যেকোন রাজনৈতিক দলের চেয়ে বেশি। তারেক জিয়া এই বিষয়ে আগ্রহী হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সঙ্গে দুইদফা বৈঠক করেছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। সেখানে তারেক প্রস্তাব দিয়েছেন, জামাতের যে সদস্য আছে, তা যেন বিএনপির সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। চার নীতিমালার ভিত্তিতে এই একীভূত হবার প্রস্তাব দিয়েছেন তারেক জিয়া; এগুলো হলো:
প্রথমত, জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতা, যারা পরিচিত মুখ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আছেন। এরা একীভূত হবেন না, তারা রাজনীতি থেকে অবসরে যাবেন। অথবা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মত পদত্যাগ করবেন। তারা যদি চায় নিজেরা দল করবেন, সেটা তারা করতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, মাঠ পর্যায়ের যে নেতারা আছেন, তারা বিএনপির সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবেন। প্রত্যেকটা এলাকায়ই জামাতের ভোটব্যাংক রয়েছে এবং নূন্যতম যাই হোক, একনিষ্ঠ কর্মী এবং সমর্থক রয়েছে। তারা দলের প্রতি নিবেদিত। যারা সার্বক্ষনিকভাবে দলের জন্য কাজ করেন। তারেক জিয়া চাইছেন, এরকম নিবেদিত কর্মীদের যদি বিএনপিতে আনা যায় তাহলে বিএনপি লাভবান হবে এবং সংগঠন শক্তিশালী হবে।
তৃতীয়ত, জামাত- বিএনপির মধ্যে আদর্শগত ঐক্য রয়েছে। দুটি দলই ইসলামিক মূল্যবোধ এবং ইসলামী চিন্তা চেতনাকে ধারণ করতে চায়। বিএনপির যে গণতান্ত্রিক আবরণ, সে আবরণটাকেই জামাত যদি গ্রহণ করে তাহলে বিএনপি-জামাত মিলে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
চতুর্থত, মনে করা হচ্ছে দুই দলই একই লক্ষ্য অর্জন করতে চায়। সেটা হলো ইসলাম ভিত্তিক গণতন্ত্র।
এই প্রেক্ষাপটে যে দুই দফা বৈঠক হয়েছে, সে বৈঠকে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা নীতিগতভাবে একীভূত হতে রাজী হয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হলো যারা বাংলাদেশে জামাতের নেতৃত্বে রয়েছেন, তারা এর পক্ষপাতী নন। তারা মনে করেন, বিএনপিতে বহু বিভক্তি আছে এবং বিএনপির রাজনৈতিক ইমেজও ভালো নয়। বিশেষ করে, তারেক জিয়ার যে ইমেজ তা নিয়ে বিএনপি বেশিদূর আগাতে পারবে না। বরং তারা নতুন করে জামাতকে সাজাতে চায়, যেখানে তারা একাত্তরে জামাত ইসলাম যে অপকর্ম করেছে, সেজন্য ক্ষমা চাইবে। তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতির রীতিনীতি অনুসরণ করে ইসলামী মূলব্যবোধ এবং ইসলামী রীতিনীতি অনুসরণ করার প্রতি জোর দিবে। ইসলামী শিক্ষাকে গুরুত্ব আরোপ করবে। কিন্তু তারা দলে গণতান্ত্রিক চেতনা, গণতান্ত্রিক চিন্তা রাখবে। এখন জামাত ইসলামের যেমন আমির, নায়েবে আমির পদ রয়েছে, সেখানে অন্যান্য দলের মত সভাপতি বা চেয়ারপারসন এবং সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব এরকম পদ সৃষ্টি করবে।
ঢাকা-লন্ডনের বিরোধের জেরে শেষ পর্যন্ত জামাত কি বিএনপিতে একীভূত হবে নাকি জামাত আলাদা একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে সেটা দেখার বিষয়। তবে একটি সূত্র বলছে যে, শেষ পর্যন্ত হয়তো দু-পক্ষ অনড় অবস্থানে থাকলে জামাত থেকে একটি বড় অংশ বিএনপিতে যোগ দিবে আর জামাতের যে নেতৃস্থানীয় যারা আছেন, যারা একাত্তর বা তার পরবর্তীতে রাজনীতি করেছেন। তাদের নেতৃত্বে একটি পৃথক রাজনৈতিক দল গঠন হবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।