নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের ‘দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনাকে’ দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই কি ফখরুলদের এই অগ্নিকাণ্ড থেকে এত দূরে দূরে থাকা? আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করেই কর্ম শেষ এই ঘটনায়? গণতন্ত্রের নামে বিএনপি যে রাজনীতি করছে, তার মূলমন্ত্র শুধু এতিম খানার দুর্নিতীর মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও পলাতক তারেক জিয়াকে দেশে ফেরানো- এমনটাই তাঁদের কার্যকলাপে পাওয়া যায় ।বিএনপি এই গন্ডিতেই আটকে আছে বহুদিন ধরে। জনসংযোগ বলতে দলটির কোন কার্যকলাপ চোখে পড়ছে না। চকবাজারের এত বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির নেতারা পারতেন একবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে, না হয় একবার ঘুরে আসতে হসপিটাল থেকে। হসপিটালে সাধারণ মানুষের কান্নার ভাগিদার হতে। সে পথে হাটেননি তিনি। এই অগ্নিকাণ্ডেও দোষারোপের রাজনীতি করেছেন। একা ফখরুল না হয় ছুটে যেতেন সেখানে। ধুম করে দোষারোপ করে দিলেন আওয়ামী লীগকে! তাতে কি কোন লাভ হয়েছে? যোগ বিয়োগের হিসেবে বোঝা উচিত বিএনপির।
ক্ষমতা ছাড়ার পর বিএনপিকে জন দুর্ভোগ কিংবা জনগনের বিপদে কখনো পাশে দেখা যায়নি। তাহলে কেন জনগন বিএনপির দুর্ভোগে তাদের পাশে দাড়াবে? বিএনপি শুধু সুযোগ খুঁজেছে কিভাবে সরকারকে ঘায়েল করা যায়। সেটা কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন হোক কিংবা অগ্নিকাণ্ড। আজকে বিএনপি মিছিল, মিটিং দিতে ভয় পায়। সরকারের কাছ থেকে গত দশবছরে এমন কিছুই আদায় করতে পারেনি জনগনকে সঙ্গে নিয়ে।
বিএনপির নিয়মিত কর্মসূচির মধ্যে বিবৃতি-ব্রিফিং, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, মানববন্ধন, দলের সর্বোচ্চ ফোরামের সভা ও কূটনৈতিক কয়েকটি কর্মসূচি উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়। যেসব কর্মসূচীর মধ্যে অনেকগুলো অনেকদিন হয়না।
বিএনপি আলোচনায় এসেছিল বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ দিতে গিয়ে। ওই এক সাধারণ জনগনের চোখে লেগেছে যে বিএনপি জনগনের জন্য কিছু করতে চাচ্ছে। কিন্তু এমনটা ঘটেছে হাতেগোনা। ক্ষমতা ছাড়ার পরে বিএনপি না পেরেছে সরকারের ঠিকঠাক সমলোচনা করতে, না পেরেছে জনগনের পাশে থাকতে। শুধু উস্কে দেওয়ার মতলবে সমলোচিত হয়েছে। তারেক জিয়াও লন্ডন থেকে গুটি চালিয়েছে কিভাবে সরকার উৎখাত করা যায়। তা যেকোনভাবে, যার সঙ্গে হোক মিলে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সে দায় নেতা হিসেবে বেগম জিয়া বা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেউই এড়াতে পারেন না। সেগুলো এমন দুর্ঘটনা ছিল না, ঘটনা ছিল। আমরা পাশের দেশ ভারতের উদাহরণও দেখতে পারি, ‘নির্বাচনের কয়েক মাস আগের সময়টিতেও সেখানে বিরোধী দল দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজের ঘোষণা দিয়েছে।’ কিন্তু আমরা কতদিন এই দোষারোপের রাজনীতি দেখবো?
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি ভিন্নপথেও হাটতে পারতো। যেকোন ইস্যুতে সরকারকে সরাসরি দোষারোপ না করে ভূক্তভোগিদের পাশে গিয়ে দাড়ালে অনেকবেশি সিমপেথি পাওয়া যেতে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তারেক জিয়া একটি বার্তা দিতেই পারতেন। নানা সময়ে তিনি দলকে অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠান জঙ্গিদের মতো। কিন্তু আজ্যবধি কোন সামাজিক ইস্যুতে তাকে কথা বলতে দেখা যায়নি। তিনি যে আবদার করেন, এক মায়ের ছেলে হয়ে ভোট চাচ্ছেন। মায়ের মুক্তির জন্য। নির্বাচনের আগে যে জনগনের কাছে এই আবদার করেছেন। নির্বাচনের পর তাদের এভাবে ভুলে গেলেন?
বিএনপি নেতারা বসে প্লাস মাইনাস হিসেব করুণ, কি করলে জনগনের কাছে যাওয়া যাবে। জনগনের কাছে না গেলে, জনসম্পৃক্তা না বাড়ালে কূটনৈতিক পাড়ায় দৌড়ালে কাজ হবে না। নির্বাচনের ভরাডুবি কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।