ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ কি বাকশালে ফিরে যাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

৭৫’র পর প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ বাকশালকে সমর্থন করছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক বক্তৃতায় বলেছেন, বাকশাল পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নির্বাচনে অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারচুপি বন্ধ হতো। তার এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ কি আবার বাকশালে ফিরে যেতে চাচ্ছে? যদিও ২০০৮ সালে বিপুল বিজয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল এরকম সমালোচনা করছে যে আওয়ামী লীগ বাকশাল ব্যবস্থা পূনঃপ্রবর্তন করছে। ২০১৪ এর নির্বাচনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ জোরেশোরেই বলা হচ্ছে যে আওয়ামী লীগ আবার একদলীয় শাসনব্যবস্থায় ফিরে যাচ্ছে এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে।

২০১৮ এর ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আরও জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। ’৭৫ এর ২৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সারাদেশে বাকশাল ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিল। বাকশাল নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে এবং বিরোধীপক্ষ একচেটিয়াভাবে বাকশালকে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মৌলিক অধিকার হরণ এবং  গণতন্ত্রকে হরণ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিলো। যদিও যারা বাকশাল সম্বন্ধে সঠিকভাবে জানেন, বাকশালের নীতি কৌশল পড়াশুনা করেছেন তারা জানে বাকশাল কখনই একদলীয় শাসনব্যবস্থা ছিলো না। সকল রাজনৈতিক দলের একটা ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম ছিলো।

আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর থেকে বাকশাল নিয়ে নীরবতা পালন করেছিলো। বাকশাল নিয়ে তাদের সুস্পষ্ট অবস্থান ছিলো রহস্যবৃত। ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ যখন পুনর্গঠিত হয় তখন আওয়ামী লীগ বাকশাল ব্যবস্থা থেকে সরে এসে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণা থেকে সরে এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগ বেসরকারী খাতকে উৎসাহ দিতে শুরু করে। তখন থেকে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ নিজেই বাকশাল ব্যবস্থাকে ধারণ করে না। বাকশালকে আওয়ামী লীগ একটি ভুল হিসেবে স্বীকার করে। যদিও আওয়ামী লীগ কোন রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র, কর্মসূচি বা অঙ্গীকারে বাকশাল ব্যবস্থাকে ভুল প্রমাণিত করেনি। আবার এটাও সত্য যে, বাকশাল নিয়ে যে অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও নানারকম বিভ্রান্তি জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কোন সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি। যদিও আওয়ামী লীগের অনেক চিন্তাবিদ, গবেষকরা বাকশাল ব্যবস্থার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে তা জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণার জন্য কোন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ গ্রহণ করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন বারবার বলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথা বলছে তখন প্রশ্ন থাকতেই পারে আওয়ামী লীগ বাকশাল নিয়ে কেনো ভয় পাচ্ছে। এই সমস্ত বিভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বাকশালের ব্যাপারে একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে যে, আওয়ামী লীগ ক্রমান্বয়ে বাকশাল ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষকে সুস্পষ্ট ধারণা দেবে এবং বাকশালের নীতি এবং অর্থনৈতিক কৌশলগুলো যে জনকল্যাণমূলক ছিল সেটার সম্বন্ধে আলোচনা করবে। যদিও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেছে যে, বর্তমানে দেশে বাকশাল ব্যবস্থা কায়েমের কোনো বাস্তবতা নেই এবং সেটা আওয়ামী লীগ চায়ও না। পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতি এবং পরিবর্তিত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাকশালের ঐতিহাসিক আবেদনও হারিয়ে গেছে। তবুও আওয়ামী লীগ মনে করে জাতির পিতা যেসময় বাকশাল করেছিলেন সেটা ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত এবং বাকশাল সেইসময় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। বাকশাল সম্পর্কে যে বিভ্রান্তিগুলো আছে যেমন বাকশাল একদলীয় ক্ষমতা সেটা ছিল ভুল একটি তথ্য। বরং বাকশালের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো একটি প্লাটফর্মের মধ্যে মিলিত হয়েছিল, সেখান থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিল। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যেই সেই নির্বাচনী ব্যবস্থা বাকশালের মধ্যে নিহিত ছিল। বাকশালের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক ছিল সমবায় প্রথা চালু করা, অর্থনৈতিকভাবে সাম্য প্রতিষ্ঠা এবং সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্থনীতিক নীতি এবং কৌশল গ্রহণ করা।

আজ বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে তখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে  দাঁড়িয়েছে বৈষম্য। এক শ্রেণীর মানুষের কাছে সমস্ত সম্পদ কুক্ষিগত হচ্ছে এবং যতই বাংলাদেশ উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে ততই বৈষম্য বাড়ছে।

এই বাস্তবতায় সাম্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য একটা শোষণহীন সমাজ ফিরিয়ে আনার জন্য বাকশালের আবেদন আবার নতুন করে এসেছে। সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য বাকশালের নীতি কৌশলের যে বিকল্প নেই তা আজ অর্থনীতিবিদরাও স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই সাম্যতা এবং ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা একটা জবাবদিহিতা এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে বাকশালের যে কিছু নীতি আদর্শ কৌশল প্রয়োগ করলে যে তার সুফল বাংলাদেশের মানুষ পাবে সেটা আজ সকলেই স্বীকার করছেন।

এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ হয়তো তার নীতি কৌশলে বাকশাল নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ , তার যে স্বপ্ন তার কিছু কিছু গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সেটা করতে গেলে সবার আগে আওয়ামী লীগের বাকশাল নিয়ে অপপ্রচার, কুৎসা এবং বিষেদাগারের বিরুদ্ধে যুক্তিসম্মত, যুক্তি নির্ভর এবং তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করতে হবে। সেটা যদি আওয়ামী লীগ করতে পারে তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগ তাঁর সমালোচকদের জবাব দিতে পারবে এবং বাকশাল ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে অপপ্রচার হচ্ছে সেই অপপ্রচারের জবাব দেয়া সম্ভব হবে। কারণ আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে যত অপপ্রচার হয়েছিল তাঁর সঠিক জবাব দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্তির হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে। যেহেতু আওয়ামী লীগ এখন দশ বছর ক্ষমতায় আছে এবং আওয়ামী লীগ দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসেছে কাজেই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব হলো বাকশাল নিয়ে যে বিভ্রান্তিগুলো আছে তা তথ্য উপাত্ত বা যুক্তির মাধ্যমে অপসারণ করা।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেঁচে যাচ্ছেন রাজ্জাক, ফেঁসে যাচ্ছেন শাজাহান খান

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কোন্দল বিভক্তি এবং আধিপত্য ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনার মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্দেশনা ছিল মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা একমাত্র প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া কেউই মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না এবং আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার কঠোর মনোভাবের কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এরকম ব্যবস্থা যদি শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছেন। গতকাল তাকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে শাজাহান খানকে ভর্ৎসনা করেছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

অন্যদিকে ড. রাজ্জাক তার খালাতো ভাইকে প্রার্থী করলেও এই যাত্রায় তিনি বেঁচে যাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে তাতে বলা হচ্ছে যে, যদি কোন স্বজন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকেন তবে তার প্রার্থী হতে কোনও অসুবিধা নেই। আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন ড. রাজ্জাকের খালাতো ভাই। কাজেই এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি নীতির আওতায় পড়বেন না। আর এ কারণেই তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা এবার প্রার্থী হবেন। এমনকি তারা কোন নেতার স্বজন হলেও প্রার্থী হতে অসুবিধা নেই। এই বিবেচনায় ড. রাজ্জাক এ যাত্রায় বেঁচে যাচ্ছেন।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়গুলোকে ইতিবাচক ভাবে নেননি। হয়তো তিনি সরাসরি শাস্তির হাত থেকে বাঁচবেন, তবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এই সিদ্ধান্তে কতটা উজ্জ্বল হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন