নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ মার্চ, ২০১৯
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত, বিভ্রান্ত এবং অন্তর্কলহে জর্জরিত একটি রাজনৈতিক দল। অনেকেই মনে করছেন বিএনপির ভাঙন এখন সময়ের ব্যাপার। নেতৃত্বশূন্যতা, নেতাদের মধ্যে পারস্পারিক বিরোধ এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বিএনপিকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। এ অবস্থা থেকে কি বিএনপির উত্তরণ সম্ভব? বিএনপিতে খুব কম নেতাই পাওয়া যাবে যারা আশাবাদী। তাদের আশাবাদের প্রধান কারণ হলো আওয়ামী লীগ।
৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দিশেহারা, বিভ্রান্ত এবং নেতৃত্বহীন একটি রাজনৈতিক দল ছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত একরকম দিগ্বিদিকজ্ঞানশুন্য একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ছোটাছুটি করেছে। ১৯৮১ সালে জাতির পিতা কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল এবং সেটাও দীর্ঘ সময় লেগেছিলো। মূলত ১৯৮৬ সালের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্রমশ সংগঠিত হতে থাকে। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম হয়।
বিএনপি মনে করছে আওয়ামী লীগ যেভাবে নির্যাতন, নিষ্পেষণের পরও সংগঠিত হয়ে গড়ে উঠেছিলো, যদি বিএনপি সঠিক নেতৃত্ব পায় এবং সঠিকভাবে গড়ে উঠতে পারে ঠিক সেরকম একটি সুযোগ বিএনপির সামনেও আছে। বিএনপি এখন মনে করছে, বিএনপিকে এখন টিকে থাকতে হলে আওয়ামী লীগের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে।
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন নতুন নেতৃত্ব হিসেবে শেখ হাসিনাকে নির্বাচন করে তখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন, আওয়ামী লীগের কোন নেতাও ছিলেন না। জাতির পিতার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার সংসার জীবন নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু বিএনপির জন্য এরকম একজনকে খুঁজে পাওয়ায় এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপিতে যাকে নেতৃত্বে উত্তরাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল, সেই তারেক জিয়া এতোটাই বিতর্কিত এবং অগ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন যে বিএনপির পক্ষে এখন তাকে নতুন করে নেতৃত্বের সামনে আনাটা গ্রহণযোগ্য হবে না। শেখ হাসিনা যেমন আনকোরা কিন্তু ক্লিন ইমেজের অধিকারী হয়ে দলকে সংগঠিত করেছিলেন সেরকম একজন নেতা খুঁজে পাওয়াই এখন বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
অনেকেই মনে করেন, ৭৫’র পরে আওয়ামী লীগ কখনই ঘুরে দাঁড়াতে পারতো না যদি শেখ হাসিনা দলের নেতৃত্ব গ্রহণ না করতেন। শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পরই আওয়ামী লীগ সংগঠিত হতে থাকে, দলের বহুধাবিভক্তি কেটে যায়। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আওয়ামী লীগের এই পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়ার চাবি ছিলেন শেখ হাসিনাই। কিন্তু বিএনপিতে শেখ হাসিনা কে হবেন?
কিন্তু তারপরও বিএনপির নেতারা বলছেন, ইতিহাস সবসময় একইভাবে পুনরাবৃত্তি হয় না। বিএনপির একটি জনসমর্থন আছে এবং দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ বিএনপিকে পছন্দ করে। বিএনপি এখন যে নিপীড়ন নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঠিক এমনটাই গিয়েছিল ৭৫’র পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ। যদিও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করেন, বিএনপি এখন যে অবস্থায় আছে তার সঙ্গে ৭৫ পরবর্তী সময়ের আওয়ামী লীগের নির্যাতন নিপীড়নের তুলনা করা অবান্তর। কারণ ৭৫-এ আওয়ামী লীগের শুধু শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হত্যাই করা হয়নি আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিলো। বিভৎস কায়দায় নারকীয় নির্যাতন ও হত্যা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে নিস্তেজ করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। সে তুলনায় বিএনপির উপর কোন নির্যাতন নিপীড়নই হয়নি। বিএনপির যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে সেগুলো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। কাজেই ’৭৫ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আজকের বিএনপির নির্যাতনের তুলনা করা হলো অর্থহীন।
দ্বিতীয় যে সমস্যা বলা হচ্ছে সেটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা একটি দল। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ক্রমশ বিকশিত হয়েছে। ৬৯-র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ জনগণের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিল। এই পুরো সময়টিতে আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিল। আওয়ামী লীগ বিরোধী দল হিসেবে রাস্তায় আন্দোলনের ক্ষেত্রেই অধিক পারঙ্গম একটি রাজনৈতিক দল।
বিএনপির জন্ম হয়েছিল ক্যান্টনমেন্টে। বিভিন্ন দল থেকে আদর্শহীন নেতাদের ভাগিয়ে এনে একটি ক্লাবের আকারে রাজনৈতিক দল করা হয়েছিল। আদর্শহীন রাজনৈতিক দল হওয়ার কারণে সংকটকালে বিএনপির নেতৃত্ব ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। দৃঢ় অবস্থান নিয়ে বিএনপি আন্দোলন বা সংগ্রাম বা নির্বাচন কোনোটিই করতে পারছে না। জনগণের চিন্তা চেতনা থেকে উৎসারিত নয়, এজন্যই বিএনপির আজকের এই অবস্থা বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তবে বিএনপির কেউ কেউ মনে করেন, বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে হলেও ৮২ সাল থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপিরও একটা পুনর্জন্ম হয়েছিল। যার ফলে বিএনপি জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছিল। তাছাড়া আওয়ামী বিরোধী একটি বিরাট জনগোষ্ঠী বিএনপিকে সমর্থন করে। কাজেই বিএনপির কোনো আদর্শ না থাকলেও কিংবা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ভেড়ানো নেতাদের একটি দল হলেও শেষ পর্যন্ত জনসমর্থন হলো বড় কথা এবং বিএনপি একটি জনসমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দল। কাজেই বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারে এবং সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ৭৫ থেকে ৮১ পর্যন্ত যে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করেছে সেই প্রক্রিয়াগুলোই অনুসরণ করতে চায়। কিন্তু ৭৯-র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেছিল এবং মাত্র ৩৯টি আসন পেয়ে সংসদে যোগ দিয়েছিল। বিএনপি এবার আসন পেয়েছে ছয়টি। সেই আসন নিয়ে কি বিএনপি সংসদে যোগ দিতে পারবে? ইত্যাদি বহু মিল অমিল খুঁজে দেখা যাচ্ছে যে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুটি ভিন্ন খাতের, ভিন্ন ধাঁচের রাজনৈতিক দল। কাজেই একটি রাজনৈতিক দল অন্য আরেকটি রাজনৈতিক দলের মতো করে উঠতে পারবে না।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, ইতিহাসে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বারবার ঘটে না। সে কারণে বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো করে আবার উদ্ভাসিত হবে এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত সেটা ভেবে দেখার বিষয় বটে।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া বিএনপি এভারকেয়ার হাসপাতাল তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।
আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।
বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।
জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।
এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।
শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।
আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।
কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।
বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ তৃণমূল উপজেলা নির্বাচন রাজনীতি ড. আব্দুর রাজ্জাক শাজাহান খান জাহিদ মালেক মোস্তফা কামাল
মন্তব্য করুন
এভারকেয়ার হাসপাতাল খালেদা জিয়া বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন