নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯
ভারতের লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি একেবারেই উত্তাপবিহীন। উত্তাপবিহীন হলেও চিত্রনায়ক ফেরদৌসের তৃণমূলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় বাংলাদেশ এবং ভারতের রাজনীতিতে কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। এটাকে পুঁজি করে বিএনপি বিজেপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য কৌশল নিয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা যাদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ রয়েছে তারা বিজেপির নেতৃবৃন্দকে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ বিজেপির বিরুদ্ধে কাজ করছে আওয়ামী লীগ তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করছে। কংগ্রেসকে সমর্থন দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ চায় কংগ্রেস বা তৃণমূল ভারতে ক্ষমতায় আসুক। ভারতে বিজেপির ভরাডুবি হোক। এটাও বলা হচ্ছে যে, ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক রয়েছে। গোপনে গোপনে আওয়ামী লীগ চাইছে কংগ্রেস যেন ক্ষমতায় আসে। বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিক নেতা আওয়ামী লীগের দুজন উপদেষ্টার নাম উল্লেখ করে বলেছেন, তারা কংগ্রেসের জন্য শুভকামনা বার্তা পাঠিয়েছেন। বিএনপির কয়েকজন নেতা ফেরদৌসের উদাহারণ দিয়ে বলেছেন, ফেরদৌস একজন আওয়ামী ঘরানার শিল্পী। বিগত নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে তিনি বিদেশেও গিয়েছিলেন। এই বাস্তবতায় ফেরদৌস যে শুধু স্ব ইচ্ছায় গিয়েছেন সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। মমতা ব্যানার্জীকে সমর্থন করার মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়েছে যে আওয়ামী লীগ আসলে বিজেপি বিরোধী। তারা চায় ভারতে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসুক। এর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সময়ে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চাইছে বিএনপি। বিএনপি মনে করছে যে, বিজেপির সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগের ভুল বুঝাবুঝি ঘটিয়ে দেয়া যায় তাহলে দ্বিতীয় দফায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন হবে এবং সেটাকে পুজি করে বাংলাদেশে ফায়দা হাসিল করতে পারবে বলেই বিএনপি মনে করছে এবং সেজন্যই তারা এই কৌশল নিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিএনপি নেতা ভারত সফরের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমান থাকার প্রেক্ষিতে তারা এই সফর বাতিল করেছে। সূত্রমতে আওয়ামী লীগ এই বিষয়টি সম্বন্ধে ওয়াকিবহল এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিজেপির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে বলেছেন যে, ভারতের নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে ভারতের একটি আভ্যান্তরীন বিষয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কোন উৎসাহ নেই এবং বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচন উপভোগ করছে এবং সেখান থেকে শিখছেন। এখানে ক্ষমতাসীন সরকারেরর কোন পক্ষ বিপক্ষ বা ভালো লাগা মন্দ লাগা নেই। আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে বিশ্বাস করে। কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়। কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিলো, তখন যেমন আওয়ামী লীগ সরকার সুসম্পর্ক রেখে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আবার বিজেপির সঙ্গেও ছিলো সুসম্পর্ক। মূল বিষয় হলো ভারত। সেখানে কোন বিশেষ দলের প্রতি পক্ষপাত নেই। বিজেপিও মনে করছে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করছে, তা বিশ্বাস করার কোন কারণে নেই। বিজেপি যাই মনে করুক না কেন, বিএনপি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাইছে। বিএনপি চাইছে কোনমতে যেন তারা বিজেপির আস্থাভাজন হয়ে উঠতে পারে। যাতে পরবর্তীতে যদি তারা ক্ষমতায় আসে, তাহলে বিজেপির সঙ্গে বিএনপির যে দূরত্ব তা যেন কমে যায়।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়ন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।