নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৫ মে, ২০১৯
পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনে গতকাল মঙ্গলবার ইফতারের আয়োজন করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ইফতারে প্রভাবশালী সব দেশের দেশের কূটনীতিকরাই মূলত উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার, ভারতের রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলিসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন। এই ইফতার পার্টিতে রাষ্ট্রদূতদের কৌতুকের বিষয় ছিল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একজন রাষ্ট্রদূত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জিজ্ঞেস করেন যে, ‘মিস্টার জেনারেল সেক্রেটারি, হাউ আর ইউ?(মহাসচিব আপনি কেমন আছেন?)’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিনয়ের হাসি ছড়িয়ে দেন। তখন সেই রাষ্ট্রদূত জানতে চান যে, আপনি কেমন আছেন সেই উত্তরটাও কি লন্ডন থেকে আসার পর আমাদেরকে জানাবেন? নাকি নিজেই জানাতে পারবেন? এ নিয়ে ইফতার অনুষ্ঠানে হাসির রোল পড়ে যায়।
এরপর অন্য একজন কূটনীতিক বলেন যে, ‘মিস্টার ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনার কী মনে আছে দু’মাস আগে আপনি কী বলেছিলেন? আপনি বলেছিলেন যে, আর যাই হোক আমরা সংসদে যোগ দেব না। সংসদে যোগ দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতিই নেই। এখন তাহলে কী হলো? আপনার কথার ওপর ভর করে যদি আমরা আমাদের দেশে রিপোর্ট পাঠাতাম তাহলে তো আমাদের চাকরি চলে যেত। আপনি কি আমাদের চাকরি খাওয়ার জন্য এ ধরনের খবর দিয়েছিলেন?’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তখনও ম্লান হাসি হেসে অন্য জায়গায় চলে যান।
আরেকজন কূটনীতিক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান যে, এরপরের চমক কী আছে? মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেটারও কোনো উত্তর দেননি। মূলত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে কৌতুকের মধ্য দিয়েই গতকালের ইফতার পার্টি জমে উঠেছিল। সেই কৌতুকে বিএনপির সিনিয়র নেতারাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।