নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ২২ জুলাই, ২০১৯
এরশাদের ইমেজকে কাজে লাগাতে না পারলে জাতীয় পার্টির অবস্থা হবে শেয়ার বাজারের মতো। শেয়ার বাজারে যেমন দরপতন হয় ঠিক তেমনটাই হবে জাপার ক্ষেত্রে। এমন মন্তব্য এরশাদের সাবেক পত্নী বিদিশা সিদ্দিকের। বিদিশা মনে করেন, এরশাদ জাতীয় পার্টিকে যেভাবে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেছেন এবং নেতা-কর্মীদের যে ভালবাসা দিয়েছেন বর্তমানে জাতীয় পার্টিকে এমন কেউ নেই এরশাদের সমকক্ষ। তাঁর মতে, জাপায় এখন লেজে-গোবরে অবস্থা। প্রকাশ্যে কেউ বলুক আর না বলুক জাপা কিন্তু দ্বিধা-বিভক্ত।
বিদিশার কন্ঠে অভিমানের সুর। তিনি বলেন, এরশাদের মৃত্যুর পর কতজন নেতা এরশাদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন? কতজন নেতা জানাযায় গিয়েছেন? কতজন নেতা পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছেন এগুলো কি কেউ খতিয়ে দেখেছে? তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, পার্টিতে যদি দ্বিধা-বিভক্তিই না থাকে তাহলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সংবাদ ব্রিফিংকালে জুনিয়র ২/৪ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য উপস্থিত থাকে। তাহলে সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্যরা কোথায় গেল? তাহলে কি তারা জাপা ছেড়ে দিয়েছে? এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ থাকলে দলের নেতা-কর্মীরা এসব প্রশ্ন আজ তুলতো না। আর আমি জাতীয় পার্টির কেউ না, জাপা নিয়ে কথা বলার অধিকারও আমার নেই। আমার সন্তান এরিক প্রশ্নে জাপার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আমার সাথে যোগাযোগ করে, তারা সার্বক্ষনিক আমার এবং এরিকের খোঁজ-খবর নেয়। আর এই খোঁজ-খবর নেয়াটা তো কোন অপরাধ নয়?
বিদিশা বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, এরশাদ আমার স্বামী ছিলেন এটা যেমন দিবালোকের মত সত্য ঠিক তেমনটাই সত্য এরিক আমার সন্তান। সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব তো মায়ের উপরই বর্তায়। কিন্তু আজ কি দেখছি একটি মহল এরিককে আমার কাছ থেকে বিছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। আমার বিরুদ্ধে এরিককে কাজে লাগাতে উঠেপড়ে লেগেছে। এটা কতটুকু মানবিক?
বাংলা ইনসাইডার/ডব্লিউএম
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।