নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর আগে সাদা মানুষ খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি ক্যাটাগরীতে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনে থাকা ব্যক্তিদেরকে খুঁজে বের করা এবং তাদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ টিম এই প্রণয়নের কাজ করছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। যে পাঁচ ক্যাটাগরির লোকদেরকে খুঁজে বের করা হবে তাদের মধ্যে রয়েছে-
১. সারাদেশের ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ। যাদের বিরুদ্ধে কোনরকম অভিযোগ নেই। যারা গত দশ বছরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন এবং নিজেদেরকে গুটিয়ে রেখেছেন। উল্লেখ্য সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী, বাহাদুর বেপারিসহ বিভিন্ন মেধাবী ছাত্রলীগ নেতা যারা দলের সুবিধাভোগীদের চাপে কোণঠাসা রয়েছেন তাদের খুঁজে বের করে তালিকা তৈরি করা।
২. যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনে যারা যুক্ত হয়েছিলেন কিন্তু রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন, সুবিধাভোগীদের চাপে নিজেদের আড়াল রেখেছেন তাদের তালিকা তৈরি করা।
৩. স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ যারা ৭৫এর ১৫ আগস্টের পর দলের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর যারা নির্যাতিত হয়েছেন। ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় যারা নির্যাতিত হয়েছেন এবং ওয়ান ইলেভেনের সময় যারা দলের জন্য কাজ করেছেন এসমস্থ তৃণমূলের নেতা যারা পরবর্তীতে যারা কোনো পদ পদবী পাননি বা মন্ত্রী এমপি বা কোনো কিছুই হতে পারেননি তাদেরকে খুঁজে বের করা।
৩। আওয়ামী লীগের যে সমস্ত শিক্ষক বুদ্ধিজীবীসহ যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং আওয়ামী মনোভাবাপন্ন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রদ্ধেও ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত তাদেরকে খুঁজে বের করা এবং তাদেরকে মূল ধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করা।
৪। যারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিকের মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধাবী এবং যারা দেশের জন্য অবদান রাখছেন এরকম ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা যেমন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম বা চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে যারা এরকম অবদান রাখছে তাদের খুঁজে বের করে তালিকা প্রস্তত করা। তাদের দলের মূল ধারার সঙ্গে নিয়ে আসা।
৫। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন কিন্তু তারা আওয়ামী লীগ করেন না তবে তাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে তাদের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পকৃত করার চেষ্টা করা।
আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, সারা দেশে আওয়ামী লীগ সভপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ টিম কাজ শুরু করেছে এবং তারা সারা দেশ থেকে এই ধরণের সাদা মনের মানুষদের খুঁজে বের করার কাজ করছে। এদেরকে খুঁজে বের করে এদের তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হবে। এবং প্রধানমন্ত্রী এই তালিকা অনুসারে এই ব্যক্তিদের সম্পক্ত করার দিক নির্দেশনা দেবেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া বিএনপি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি বাংলাদেশের নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মেজর হাফিজ সাকিব আল হাসান কিংস পার্টি ড. মঈন খান বিএনপি
মন্তব্য করুন
মো. সিদ্দিকুর রহমান আওয়ামী লীগ বিপ্লব বড়ুয়া সুজিত রায় নন্দী
মন্তব্য করুন
আবদুল আউয়াল মিন্টু তারেক জিয়া বিএনপি ২৮ অক্টোবর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের করা এই আবেদন এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন যে, সচিব তাকে ফাইলটি পাঠিয়েছেন। এটি তিনি দেখছেন। আগামীকাল তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। আইনমন্ত্রী এও বলেছেন যে, এ ব্যাপারে পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে তিনি খুব একটা সরে আসবেন না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে কি ধোঁকা দিয়েছে—এরকম একটি প্রশ্ন এখন বিএনপির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিএনপি নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনায় এই প্রসঙ্গটি বারবার আনছেন। বিএনপির একাধিক নেতা মনে করে, বিএনপি যে আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করেছিল, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে যে তেজি ভাব এসেছিল, তার প্রধান কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব এবং আগ্রহ। তাছাড়া বিভিন্ন সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা কূটনীতিকরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যে ভাষায় যে ভাবে কথা বলেছেন তাতে বিএনপির নেতাদের মধ্যে স্থির বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেছিল যে, তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে চায় না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম এজেন্ডা। আর এ কারণেই বিএনপি নেতারা এই বক্তব্যটিকে তাদের কর্মীদের কাছে সঞ্চারিত করেছিল এবং কর্মীরা উৎসাহিত হয়েছিল।
টানা ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। ১৬ বছরে পা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগ। টানা ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষমতার কেন্দ্রে একটা ভারসাম্য লক্ষ্য করা যায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীদেরকে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন করে একেক মেয়াদে একেক জনকে মন্ত্রী করেন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন করে নেতাদের যেমন যোগ্যতা পরিমাপ করেন, ঠিক তেমনি তাদেরকে ক্ষমতাবান করেন।
নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে একশ কোটি টাকার বেশি উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করছেন। কাকে কাকে আটক করতে হবে এবং কারা কারা বিএনপিতে বড় ধরনের আন্দোলন করতে চায়, সরকারের জন্য বিপজ্জনক সেই নামের তালিকা সরবরাহ করেছেন। কাদেরকে বাইরে রাখলে কোন সমস্যা নেই সে নামও জানিয়েছেন সরকারি দলের লোকজনকে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেন বিএনপি কোনো বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য আশ্বাসও দিয়েছেন। তার এই আশ্বাসের কারণেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অনেকটা নির্ভর অবস্থায় নির্বাচন করেছে এবং বিএনপি যথারীতি নির্বাচন প্রতিরোধে কোন বড় ধরনের সহিংসতা বা নাশকতা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।