নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৮ নভেম্বর, ২০১৯
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে জানুয়ারিতে তারা নির্বাচন করতে চায়।
অন্যদিকে ৩০ নভেম্বর ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন জানুয়ারিতে হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, ঢাকা দক্ষিণ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সীমানা নিয়ে একাধিক বিরোধ রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে এই সমস্ত বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে এবং শেষে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চাইছে নির্বাচনকে মার্চ পর্যন্ত গড়িয়ে নিতে যেন এর মধ্যে দলটি সম্মেলন করে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। সাংগঠনিক শক্তি ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে যেন তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। তবে এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সিটি নির্বাচন নিয়ে নানা রকম আলোচনা এবং প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে। নতুন প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, হঠাৎ করে ঢাকা দক্ষিণে আলোচনায় আসছেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সুপ্রীম কোর্টের এ আইনজীবি ২০০১-২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০০৬ সালে বাতিল হয়ে যাওয়া নির্বাচনে মোহাম্মদপুরের আসন থেকে শেখ হাসিনা মনোনয়নও দিয়েছিলেন তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচন বর্জন করে আওয়ামী লীগ। নতুন নির্বাচনের আগেই ওয়ান ইলেভেন আসে। ওয়ান ইলেভেনের সময় ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ভোল পাল্টে ফেলেন। তিনি সংস্করপন্থী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমস্ত ফাইল তিনি ফেরত দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত কয়েকমাসে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আবার ঘনিষ্ঠতা তৈরী হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই ঢাকা দক্ষিণে একজন হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম খুঁজতে গিয়ে রোকন উদ্দিন মাহমুদের নাম এসেছে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোকন উদ্দিন মাহমুদের ব্যাপারে এখনো কোন সবুজ সংকেত দেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। একটি মহল চেষ্টা করছে, শেষ পর্যন্ত যেন রোকন উদ্দিন মাহমুদকে প্রার্থীতা দেওয়া হয়। এছাড়াও আরো কয়েকজন বিকল্প প্রার্থীর কথাও ভাবা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়রকে নিয়ে আওয়ামী লীগ খুশি নয়। যদিও তিনি মাত্র এক বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আনিসুল হক যেভাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সাজিয়েছিলেন, আতিকুল ইসলাম তার ধারেকাছেও নেই বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন। বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি এবং প্রয়াত আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হকের নামও আলোচনায় এসেছে উত্তরের মেয়র পদের সম্ভব্য প্রার্থীরা তালিকায়। কিন্তু যেহেতু তিনি বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সেহেতু তাকে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে অনেকেরই আপত্তি আছে।
তবে ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচনে হঠাৎ করে সাবের হোসেন চৌধুরির নাম আলোচনায় এসেছে। সাবের হোসেন চৌধুরির ক্লিন ইমেজ এবং তার কর্মদক্ষতার কারণে তাকে উত্তরের দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের একটি মহল ভাবছে।
আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, নির্বাচনের আগে অনেক নামই আলোচনায় আসবে। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়র হিসাবে নির্বাচনে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।