নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২০
আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন হয়েছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের আগে। কিন্তু জাতীয় কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো ঘোষিত হয়নি।
সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করছে আগামী সিটি নির্বাচনের পর পর্যায়ক্রমে এই কমিটিগুলো ঘোষণা করা হবে। আর নিরবে কমিটি গঠনের কাজ চলছে বলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন।
কিন্ত এই সমস্ত কমিটি গঠন না হওয়ার ফলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল এবং মাঠ পর্যায়ে হতাশা বিরাজ করছে। বিশেষ করে সিটি নির্বাচনে নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে স্থানীয় পর্যায়ের ওয়ার্ডগুলো।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে গেল বছরের ২১ ডিসেম্বর। তার আগেই আওয়ামী যুবলীগের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছা সেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ ও মহিলা লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিলের আগেই। কিন্তু সেই সময় জাতীয় কাউন্সিলের কারণে এই সমস্ত অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। সে সময় বলা হয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পরেই এই কমিটিগুলো ঘোষণা করা হবে। কিন্তু কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই শুরু হয়েছে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম। যে কারণে এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা বলেছেন, এই কমিটিগুলোর খসড়া তৈরির কাজ চলছে। বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে খসড়া কমিটি তৈরির কাজ প্রাধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক সম্মেলন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে কমিটির নাম দিতে বলা হয়েছে। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি খসড়া জমা দেবেন। কিন্তু নেতৃত্ব থেকে শুধুমাত্র গাইডলাইন জমা দেওয়া হয়েছে, আর এ ব্যাপারে যে নির্দেশনাগুলো জমা দেওয়া হয়েছে তা হলো;
১। যারা বিগত কমিটিতে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ ছিল তাদেরকে নতুন কমিটিতে রাখা হবে না।
২. ছাত্রলীগ থেকে যারা সফলভাবে দায়িত্ব শেষ করেছেন তাদেরকে কমিটি গঠনে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
৩. অন্যান্য দল থেকে যারা এসেছেন তাদেরকে এ ধরণের কমিটিতে রাখা হবে না।
৪. যারা বিভিন্ন সময় দলের জন্য অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায়, অথচ কমিটিতে তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি তাদেরকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে।
সর্বশেষ যেটি মাপকাঠি দেওয়া হয়েছে; যারা গত কিছুদিন ধরে অভিমানে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন তাদেরকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করা হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলে শামস পরশ এবং মাইনুল হোসেন নিখিলকে। তারা এখন কমিটি গঠনে কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানও কমিটি গঠনে কাজ করেছে বলে জানা গেছে। এই কমিটিগুলোর খসড়া দেওয়া হবে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তিনি চূড়ান্ত করলেই তা অনুমোদন হবে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে যে, খসড়া কমিটিগুলো বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা পরীক্ষা নিরিক্ষা করবে এবং কোন অভিযোগ আছে কিনা সে ব্যাপারে রিপোর্ট করা হবে। আওয়ামী লীগের অন্য একটি সূত্র বলছে, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই সময় দেখা গেছে যাদেরকে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। অন্যান্য অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলোর ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এ জন্যই কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে।
তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন যে, আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী শুরু হবে। তার আগেই সবগুলো কমিটি গঠন করা হবে। আশা করা হচ্ছে, ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন কমিটিগুলো গঠন করা হবে। কিন্তু কমিটি ঘোষণা না করার ফলে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে একটি সাংগঠনিক স্থবিরতা বিরাজ করছে। দলীয় অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম প্রায় নেই বললেই চলে। এটা দলের জন্য ইতিবাচক নয় বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।