নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে এক ধরণের ধুম্রজাল তৈরী হয়েছে। আইনীপথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। আগামী রোববার এই আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির আইনজীবীরাও ভালোমতোই জানেন যে, হাইকোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ আপিল বিভাগ ইতিমধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
প্রকাশ্যে আইনী লড়াইয়ের কথা বললেও, ভিতরে ভিতরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নানা রকম দেন দরবার এবং লবিং হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে যেমন বেগম জিয়ার পরিবারের দেন দরবারের খবর জানা গেছে তেমনি বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে দৌঁড়ঝাপ করছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। গত তিনদিনে মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্রিটিশ হাইকমিশনার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির যৌক্তিকতা এবং উন্নত চিকিৎসার বিষয়টি কূটনৈতিকদের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। অবশ্য কূটনৈতিকরা প্রশ্ন করেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া যদি শারীরীকিভাবে অসুস্থ হবেন তাহলে তার প্যারোল নয় কেন? প্যারোল নিতে অসুবিধা কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির নেতৃবৃন্দর মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মইন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টুসহ একাধিক নেতা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং এসমস্ত আলাপ-আলোচনায় তাঁরা খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট তাদেরকে দিয়েছেন। বেগম জিয়ার যে ‘এডভান্স ট্রিট্মেন্ট’ দরকার- সেই বিষয়টিকে জোর দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। অবশ্য মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ‘এডভান্স ট্রিটমেন্টের যে কথা বলা হয়েছে তা বিএসএমএমইউ-তেও দেয়া হয় এবং সেটা দেয়ার জন্য রোগীর সম্মতির প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়া সেই সম্মতি দিচ্ছেন না বলেই তাঁর চিকিৎসা প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এর সঙ্গে বিদেশ যাওয়া যুক্ত নয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে এডভান্স ট্রিটমেন্ট বাংলাদেশে আদৌ সম্ভব কিনা সেই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে যে, এডভান্স ট্রিটমেন্ট বাংলাদেশের তিনটি হাসপাতালে করা যায়। তাঁর মধ্যে রয়েছে বিএসএমএমইউ- বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাপোলো হসপিটাল এবং ইউনাইটেড হসপিটাল।
এই তিনটি হাসপাতালে নিয়মিতভাবে বায়োলজিক্যাল ইনজেকশনসহ নানা ধরনের ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। কাজেই কুটনীতিকরা বেগম খালেদা জিয়ার উচ্চতর চিকিৎসা দেশের কোনো বেসরকারি মেডিকেলেই করা সম্ভব কিনা এ নিয়েও সরকারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে।
যদিও এখন পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জামিন, প্যারোল ইত্যাদি বিষয়গুলো তাদের হাতে নেই। এগুলো সবই আদালতের এখতিয়ারাধীন বিষয়। আদালতের কোনো কার্যক্রমে সরকার হস্তক্ষেপ করে না। আর আদালত থেকে যে ধরনের নির্দেশনা আসবে সেই নির্দেশনা অনুসারে সরকার তার দায়িত্ব পালন করবে।
কাজেই শেষ পর্যন্ত এই উচ্চতর চিকিৎসার বিষয়টি নিয়েই খালেদার মুক্তির প্রক্রিয়া আরো জট পাকাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।