ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার ব্যতিক্রমী ১০ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২৯ জুন, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে গত ৮ মার্চ থেকে। এর আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন, করোনা মোকাবেলায় নানারকম নির্দেশনা দিচ্ছেন। একদিকে তিনি যেমন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন, অন্যদিকে মানুষ যেন জীবিকা নির্বাহ করে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। এই পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোট ৭৪ টি নির্দেশনা দিয়েছেন, এই ৭৪ টি নির্দেশনাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই নির্দেশনাগুলোর মধ্যে দশটি নির্দেশনা অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী এবং যে নির্দেশনাগুলো প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা কিভাবে বহুমাত্রিক নেতা এবং একটি দেশের জনকল্যাণের চুলচেড়া বিষয়গুলোর দিকেও তিনি নজর রাখেন। জনকল্যাণের জন্য তিনি সর্বদা সজাগ এবং কোনকিছুই তাঁর নজর এড়ায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪ টি নির্দেশনার ভেতরে বাছাইকৃত ১০ টি নির্দেশনা নিয়ে এই প্রতিবেদন।

১. নদীবেষ্টিত জেলাগুলোতে নৌ-এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।

পহেলা এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সেদিন ৩১ দফা যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তাঁর মধ্যে সপ্তম নির্দেশনা ছিল এটা। অর্থাৎ এর মাধ্যমে নদীবিধৌত দেশের সব স্থানে যে এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া যাবেনা, নৌ-এ্যাম্বুলেন্সও দিতে হবে এই বোধটি প্রধানমন্ত্রীকে ব্যতিক্রমধর্মী এবং সংবেদনশীল এক নেতা হিসেবে পুনরায় প্রমাণ করে।

২. অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।

পহেলা এপ্রিল শেখ হাসিনার দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনার মধ্যে ১৪তম নির্দেশনা ছিল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে। যেসময় করোনায় সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে সাধারণ ছুটির কারণে, তখনো প্রধানমন্ত্রী বুঝেছিলেন যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং করোনা সঙ্কট মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট-ও প্রকট হবে এবং এখন থেকেই সেজন্য কাজ করতে হবে।

৩. খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, জমি পতিত না রেখে অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার আরেক নিদর্শন হচ্ছে এটা। এটাও পহেলা এপ্রিল দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনার মধ্যে ১৫ তম নির্দেশনা। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই বুঝেছিলেন যে, করোনা পরবর্তী বিশ্বে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে এবং এখন থেকেই বাংলাদেশ যেন এই খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়। এবং সম্প্রতি এফএও বলেছে যে, করোনা পরবর্তী বিশ্বে যে দেশগুলোতে খাদ্য সঙ্কট হবেনা সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

৪. যে সকল চিকিৎসক এবং নার্স কোভিড-১৯ এর শুরু থেকে কাজ করেছেন তাঁদের তালিকা প্রস্তুত করে পুরস্কৃত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনাটি দিয়েছিলেন ৭ এপ্রিল এবং সেদিন যে ১০ দফা নির্দেশনা তিনি দেন তাঁর মধ্যে ষষ্ঠ নির্দেশনা ছিল এটা। এর মাধ্যমে তিনি বুঝেছিলেন যে, করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং নার্সরা হচ্ছেন সম্মুখ সমরের যোদ্ধা এবং তাঁদেরকে আলাদাভাবে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা না করলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন।

৫. জীবনে চলার জন্য কাজ করতে হবে, তবে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে কাজ করতে হবে।

১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দশ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাঁর মধ্যে তৃতীয় দফা ছিল এই নির্দেশনাটি এবং এর মাধ্যমে তিনি করোনা মোকাবেলার কৌশল সুস্পষ্ট করেন। অর্থাৎ একদিকে মানুষকে কাজ করতে হবে, অন্যদিকে নিজেকে স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হবে, সুরক্ষিত থাকতে হবে। মূলত শেখ হাসিনাই প্রথম একসঙ্গে অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কৌশল দিয়েছিলেন, যে কৌশলটি এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো অনুসরণ করছে।

৬. খাদ্য উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারো এক খণ্ড জমিও যেন অনুতপাদিত না থাকে।

২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই ১৩ দফার ভেতরে এটা ছিল চতুর্থ দফা নির্দেশনা। এর মাধ্যমে তিনি আরো বেশি করে খাদ্য উৎপাদন এবং জমি যেন খালি পড়ে না থাকে সে ব্যাপারে নজর দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিতা এবং বিচক্ষণতার প্রমাণ হলো এটা যে, তিনি বুঝেছিলেন যে আমরা যদি খাদ্য উৎপাদন করতে পারি তাহলে করোনা পরবর্তী বিশ্বে আমরা একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে দাঁড়াতে পারবো।

৭. গাজীপুর শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।  

উল্লেখ্য যে, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত এবং এই ট্রাস্টটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার উদ্যোগে গঠিত হয়েছে। কাজেই শেখ হাসিনা যে নিজে কাজ করে নেতৃত্ব দেন সেটি আরেকবার প্রমাণ করেছিলেন। তাদের যে হাসপাতাল, সেই হাসপাতালটি তিনি কোভিড ১৯ হাসপাতালে পরিণত করে প্রমাণ করেছেন, তিনি যেটি বলেন সেটি করেন। শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধু ভবনটি জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হয়েছিল। নিজেদের যে সম্পদের লোভ নেই, জনগনের জন্য যে তারা উৎসর্গকৃত সেটা এই নির্দেশনা দিয়ে আরেকবার প্রমাণ করলেন। 

৮. সুরক্ষা সামগ্রী যারা সরবারহ করে তারা সঠিকভাবে তা দিচ্ছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে। 

বাক্সের মধ্যে কি আছে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০ এপ্রিল যে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম নির্দেশনা ছিলো এটি। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন।
 
৯. দুধ ফেলে না দিয়ে কাউকে দিন, আপনার প্রতিবেশী বা দরিদ্র মানুষদের দিন। 

করোনা সংক্রমণের পরই বাংলাদেশে ডেইরী শিল্পে একটা সঙ্কট শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ উদ্যোগের কারণে এই সঙ্কট থেকে বাংলাদেশ উত্তরণ করতে পেরেছে। এই সময় মানুষ দুধ বিক্রী না করতে পেরে ফেলে দিচ্ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাটি ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল। এরপর ডেইরী এবং পশু সম্পদে যারা কাজ করেন তাদের বিভিন্ন রকম উৎসাহ এবং প্রণোদনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই খাতটিকে সুরক্ষিত করেছিলেন। 

১০. প্রতি জেলায় আইসিইউ ব্যবস্থা নিতে হবে। 

২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী যে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে অষ্টম নির্দেশনা ছিলো এটি। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং সারাদেশে মানুষ যেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাই বলে দেয় যে তার সবদিকে খেয়াল। তার রাজনৈতিক দুরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা এবং মানুষের জন্য ভালোবাসা অনন্য অসাধারণ। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকন ইস্যু 'নিষ্পত্তি' করল বিএনপি

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।

সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও  কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
 
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
 
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।

তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’ 

এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।


ব্যারিস্টার খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন