নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের (১৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যে উপকমিটির নাম জমা দেওয়ার জন্যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে সম্পাদক মণ্ডলীর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা জারি করেছিলেন। প্রতিটি উপকমিটি ৩৫ জনের বেশি হবেনা- এরকম একটি নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে যে, মাত্র এক তৃতীয়াংশ উপকমিটির নাম দপ্তরে জমা পড়েছে, এখনো দুই তৃতীয়াংশ উপকমিটির নাম জমা দেওয়া হয়নি। এরফলে এই উপকমিটি গঠনের প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে গেল।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, করোনার কারণে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিগুলো গঠন এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রক্রিয়া থমকে ছিল, এখন করোনার সঙ্গে বসবাসের যে কৌশল নিয়ে সরকার এগোচ্ছে তার ফলে সবক্ষেত্রেই স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে এবং একারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি সেপ্টেম্বরের মধ্যে উপকমিটি থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কমিটি এবং জেলা কমিটি গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এটার জন্য তিনটি ধাপ ছিল।
প্রথমত, সংশ্লিষ্টরা কমিটিগুলোর নাম প্রস্তাব করে একটি খসড়া দেবে এবং এটা সম্পাদক মণ্ডলীতে যাচাইবাছাই হবে, আলোচনা হবে। তারপর সেটি আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি এটা যাচাইবাছাই করার পর চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেবেন। এই অনুমোদন প্রক্রিয়াটি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগ শেষ করতে চেয়েছিল। তারই অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন সম্পাদকদের জন্য পৃথক উপকমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের এরকম ১৭ টি উপকমিটি গঠনের কথা এবং সেটা করার জন্যে প্রত্যেক সম্পাদককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং তাদেরকে নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সম্পাদক মণ্ডলীদের এটাও বলা হয়েছিল যে, কোন প্রস্তাবিত নামে যদি বিতর্কিত ব্যক্তি থাকে তাহলে তাঁর দায়দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সাহেদ-পাপিয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ এবার উপকমিটিগুলোর ব্যাপারে অনেক সতর্ক। এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরদারির মধ্যে আছে বলেও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। সেই কারণেই উপকমিটি গঠনে খানিকটা ভয় এবং দ্বিধান্বিত আওয়ামী লীগের সম্পাদকরা। তারা নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা রকম দ্বিধা দ্বন্ধে ভুগছেন। তারা ভাবছেন যে, যদি কোন বিতর্কিত ব্যক্তির নাম দেওয়া হয় তাহলে তারাই বিপদে পড়তে পারেন। আর এই কারণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে। আর এটিও উপ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনার সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে। আবার জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো গঠনের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে যে, অনুপ্রবেশকারী এবং সুবিধাভোগীদের সাথে দলের ত্যাগী পরীক্ষিতদের নানা রকম বিরোধ তৈরি হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের উপদলীয় কোন্দল প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। আর এ সমস্ত কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি কমিটিগুলো গঠনের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যেতে পারে বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছেন যে, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা তাদের নিজস্ব উপকমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ভয় পাচ্ছেন। আর এজন্যই তারা মনে করছেন যে, আওয়ামী লীগ সভাপতিই যদি কমিটিগুলো গঠন করে দিতেন, তাহলে তাদের জন্য ভালো হতো।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম একজন সদস্য বলেছেন যে, সম্পাদকমণ্ডলীকেই ঠিক করতে হবে তারা কাদেরকে নিয়ে কাজ করতে চান। প্রতিটি সম্পাদকমণ্ডলীর সুনির্দিষ্ট কাজ আছে এবং এই কাজের জন্যই উপকমিটিগুলো গঠন করা হয়। এটি একজন সম্পাদকের টিম, কাজেই সম্পাদককেই ঠিক করতে হবে। জানা গেছে, যারা এখন পর্যন্ত কমিটির নাম জমা দিয়েছেন, তাদের অনেকেই ৩৫ জনের বেশি নাম দিয়েছেন। যদি কাউকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে যেন সংখ্যা কম না হয়। আগে আওয়ামী লীগের একটি উপ কমিটিতে একশ জন বা তারও বেশি থাকার নজির ছিল। এবার বিধি নিষেধ আরোপ করারও একটি বড় সমস্যা রয়েছে, কারণ আওয়ামী লীগে এই ধরণের উপকমিটিতে থাকবার জন্য অনেক কর্মী মুখিয়ে আছেন। এই কারণেই একটা চাপের মধ্যে পড়েছেন সম্পাদকমণ্ডলীরা। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যেই এই উপকমিটিগুলো চূড়ান্ত হবে।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।