নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের পর সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্ব বণ্টন করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
পাশাপাশি যুবলীগ করার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণের প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবলীগের কংগ্রেস পরবর্তী সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ।
তনি বলেন, ভার্চুয়াল এই সভায় সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্ব বণ্টনসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত কর্মসূচি প্রণয়ন কমিটি, প্রকাশনা-পুস্তিকা-বুকলেট প্রকাশ সংক্রান্ত কমিটি, বাজেট প্রণয়ন কমিটি গঠনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৯টি সাংগঠনিক বিভাগের জন্য ৯ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে দায়িত্ব বণটন করা হয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে দুটি করে বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম; রাজশাহী বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন; চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ; চট্টগ্রাম উত্তর বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল; ঢাকা উত্তর বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলাম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু; রংপুর বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল পারভেজ; ঢাকা দক্ষিণ বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল; খুলনা বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ; সিলেট বিভাগ: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম সৈকত জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল কবির।
যুবলীগ করার সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ সংক্রান্ত অনুসঙ্গটি গঠনতন্ত্রে সন্নিবেশিত করার লক্ষ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্যদের মতামত চান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সপ্তম কংগ্রেস পরবর্তী নতুন নেতৃত্ব বর্তমান চেয়ারম্যান-সাধারণ সম্পাদক এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটির সকল সদস্য ৫৫ বছরের হিসাব মোতাবেক নির্বাচিত/মনোনীত হয়েছেন। সভায় প্রস্তাবটি গ্রহণের অনুমতি প্রার্থনা করা হয়। এ সকল প্রস্তাবনাসমূহ নীতি নির্ধারণী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।”
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ পরশ বলেন, “নীতি নির্ধারণী সভায় গৃহীত এসকল প্রস্তাবনাসমূহ পাশ করার লক্ষ্যে অষ্টম জাতীয় কংগ্রেসে পেশ করা হবে।”
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।