নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩০ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। এমপি হিসেবে তিনি যতটা পরিচিত ঠিক তেমনি আলোচিত দুর্নীতি বিরোধী সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য। শুরুতে ফরিদপুরের দুর্নীতি ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাফরউল্লাহকে নিয়ে সমালোচনা করে আলোচনায় এসেছিলেন। এরপর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে এক আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
যুবলীগের রাজনীতির শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও ভাস্কর্য বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করে দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন এক ভিন্ন কারণে। এবার তির্যক বক্তব্য কিংবা তীব্র সমালোচনা করে নয়, আলোচনায় এসেছেন রাজনীতিতে ‘ঐক্যের ডাক’ দিয়ে। এতোদিনের প্রতিপক্ষ কাজী জাফরউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরের উন্নয়ন করার কথা বলেছেন এই সংসদ সদস্য। সম্প্রতি বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলপচারিতায় এসব কথা বলেছেন তিনি।
মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, আমি এতোদিন স্বতন্ত্র হিসেবে রাজনীতি করেছি এবং ফরিদপুরে যে অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে সেসব বিষয়ে কথা বলেছি। ব্যক্তি জাফরউল্লাহকে নিয়ে কথা বলেছি কিন্তু কখনও আওয়ামী লীগ নিয়ে কথা বলিনি। আমি এখন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আর কাজী জাফরউল্লাহ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজেই আমরা একই আদর্শের রাজনীতি করি। সুতরাং কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি নয় বরং কাজী জাফরউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরের উন্নয়ন করতে চাই।
কাজী জাফরউল্লাহকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করলেও তিনি আমার সিনিয়র নেতা কাজেই নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমি তাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। কাজী জাফরউল্লাহ আমাকে সহযোগীতা করলে আমার তিন থানার রাজনীতিতে আর খোঁচাখুঁচি থাকবে না। ইতিমধ্যে জাফরউল্লাহর পক্ষের মেয়র, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এই পরিস্থিতিতে তিনি একা মানুষ বাইরে থেকে কি করবেন?। তিনি সিনিয়র নেতা হিসেবে আমাদের বুদ্ধি-পরামর্শ দেবেন, আমরা তাকে সম্মান দেবো।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যখন আমাকে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করেন তখনই মানুষ বুঝেছেন যে নেত্রী আমাকে দিয়ে সংগঠন করাবেন। কাজেই আমি ফরিদপুরের রজনীতিতে কোনো বিভাজন চাই না। সবাই মিলেমিশে ফরিদপুরের উন্নয়ন করতে চাই। যখন স্বতন্ত্র হিসেবে রাজনীতি করেছি তখন ফরিদপুরের দুর্নীতি ও নেতাদের অপকর্ম নিয়ে সোচ্চার ছিলাম। এখন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েও দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবো না। যারা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে কলুষিত করতে চাইবে আমি তাদের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।