নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ জুন, ২০২১
আগামীকাল ১১ জুন। ২০০৮ সালের এই দিনে প্রায় এক বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাসমর্থিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে একটি অনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর ছিল এবং ওই নির্বাচন নিয়ে দেশে একটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছিল সেই প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর উদ্যোগেই এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল। সেসময় দেশের আপামর জনসাধারণ ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিল। আওয়ামী লীগও ২২শে জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিল। সেই সময় সকলে প্রত্যাশা করেছিল যে, নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন দিবে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি সুশীল সরকারের রূপরেখা প্রণয়ন করে। আর এই সুশীল সরকার রূপরেখা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বাধা ছিল শেখ হাসিনা।
সেই সময় আওয়ামী লীগের একটি অংশ দীর্ঘমেয়াদি অনির্বাচিত সরকার থাকার পক্ষে অবস্থান নেয় এবং তারা শেখ হাসিনার দ্রুত নির্বাচনের দাবি দাবিকে সমর্থন করেনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই সময় মাইনাস ফর্মুলা চালু করে। বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে চিরবিদায় করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু এই উদ্যোগ সহজ ছিল না। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার ছেলে-মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন সেই সময় তাঁর ফিরে আসার মুহূর্তে তাকে বাধা দেওয়া হল এবং দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। সে সময় শেখ হাসিনা তাঁর দৃঢ় মনোবল এবং দেশপ্রেমের অনন্য নজির রাখলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশে-বিদেশে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ল।
শেখ হাসিনা বললেন, যেকোনো মূল্যে আমি দেশে ফিরব। এটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম পরাজয়। তারা শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কিছু কিছু ব্যক্তি তাদের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নের জন্য অন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তারা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার নতুন ফন্দি তৈরি করে এবং সেই অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করেই আন্দোলন বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। বরং তার গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যায়। এই সময়ে শেখ হাসিনা একটা সংকটের মধ্যে ছিলেন। দলের মধ্যে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ছিল, দলের বাইরে বিরাজনীতিকরণ শক্তি সুশীল সমাজ তার বিরুদ্ধে লেগেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা তার নিজস্ব যোগ্যতায়, রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় দলে যারা তার বিরুদ্ধচারী ছিলেন তাদেরকে যেমন প্রতিহত করেছিলেন ঠিক তেমনিভাবে সুশীলদেরকে পরাজিত করেছিলেন। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তায় ১১ই জুন ২০০৮ সালে মুক্তি পান। আর এই মুক্তির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা অবিসংবাদিত নেতার মর্যাদা পান। জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পান এবং রাজনৈতিক শক্তির প্রধান ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন। এই দিনটিকে তাই বলা যায় শেখ হাসিনার দ্বিতীয় ইনিংস।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।